মেলায় বসেই বঙ্গবন্ধুর বই পড়ার সুযোগ

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪৪ | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০০

তানিয়া আক্তার, ঢাকাটাইমস

বই কিনে আর অপেক্ষা নয়। বঙ্গবন্ধু অনুরাগীরা বই কিনে পড়তে পারবেন মেলাতেই। বইমেলায় 'বঙ্গবন্ধু পাঠ' নামে একটি কর্নার রয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অনুরাগীদের জন্য এই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। বইপ্রেমী ক্লান্ত পাঠক যেন বঙ্গবন্ধুর অনেক বই দেখে পড়ে বাছাই করে পছন্দের বইটি কিনতে পারেন কিংবা মেলাতে বসেই পড়তে পারেন সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ঢাকাটাইমসকে বলেন,  'পাঠকেরাই আমাদের মূল আকর্ষণ। তাই পাঠকদের বইমুখী করার জন্য প্রতিবারই আমাদের বিশেষ আয়োজন থাকেই। এবার যেহেতু মুজিব বর্ষ তাই বঙ্গবন্ধু পাঠ নামে পাঠাগারের মতো আয়োজনটি করা হয়েছে। বইপ্রেমীরা বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য বই কিনে বা না কিনে এখানে বসেই পড়তে পারেন সেই সুযোগটুকু আমরা করেছি।'

নান্দনিক এই 'বঙ্গবন্ধু পাঠ' নামের পাঠাগারটির সাজসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। এর অন্দরে রয়েছে কয়েকটি সাদা কাঠের বেঞ্চি।

বইমেলায় ঘুরতে আসা বইপ্রেমীরা এর পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভেতরে গিয়ে বইয়ের পাতা উল্টে দেখছেন। তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টে দেখছেন ব্যাংকার শিমুল আহসান। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে এত বই আছে আগে জানা ছিল না। মেলায় এসে অনেক কিছুর মাঝে বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য এরকম একটি পাঠাগারের আয়োজন খুবই চমৎকার উদ্যোগ। কারণ শুধু দাঁড়িয়ে থেকে বই যাচাই করে কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেক সময়। এখানে বসে অনেক বইয়ের মাঝে পছন্দের বইটি খোঁজার একটা মাধ্যম তৈরি হলো।'

পুরো পাঠাগারটি বাঁশের গাঁথুনিতে মোড়া। বাইরে থেকে সহজেই বোঝা যায় এটি একটি পাঠাগার। সন্ধ্যার আলোয় কিংবা বৈদ্যুতিক আলোয় মনোরম একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে ভেতরে। দেখলেই যেন বসে পড়তে ইচ্ছে হয়। আলো-আঁধারিতে ঘেরা পাঠাগারটি বঙ্গবন্ধুর ক্লান্ত বইপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত।

শিপ্রা বণিক মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন আরেকটি বই। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলো বই কিনব। জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে এটা যাচাই করা সম্ভব না। তাই এখানে বসে দেখছি কোনটা ঠিক কোনটা কিনব। এভাবে বসে থেকে কখনোই এই যাচাই করার সুযোগটা হয়নি। মেলার এই আয়োজনটা খুব ভালো লেগেছে।'

(ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/টিএটি/জেবি)