ট্রেনের কেবিনে অধ্যক্ষ-ছাত্রী: শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:০৬

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

তিস্তা ট্রেনের কেবিনের কামরায় অধ্যক্ষ-ছাত্রীর অবস্থান নিয়ে সৃষ্ট ঘটনার প্রতিবাদে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা ওই অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন ও অধ্যক্ষের কুশপুতুল পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রবিবার দুপুরে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেনের কামরায় অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর ওই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের শত শত মানুষ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে জেজেকেএম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মোজাহারুল হক, নাজমুন নাহার, হানিফ উদ্দিন, রাহাত হোসেন পাহলোয়ান, রকিব চৌধুরী, উজ্জ¦ল সরকার, রুহুল আমিন, মনির হোসেন, জিয়াউল হক প্রমুখ।

বক্তারা ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তাকে অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। ট্রেনটির যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগেরভিত্তিতে রেলওয়ে থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করেও তার বিরুদ্ধে মামলা না করায় তারও সমালোচনা করেন বক্তারা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবকরা ওই অধ্যক্ষের দুটি কুশপুতুল পোড়ান।

এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি তাপস চন্দ্র পণ্ডিত তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রেসব্রিফিংয়ে ওই ছাত্রী কোনো অভিযোগ না করায় চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের পক্ষ থেকে জনসমক্ষে কেবিনের একটি কামরায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠার কথা বলেছিলেন। এ কারণেই তিনি রেলওয়ে আইনে অধ্যক্ষ-ছাত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওসি তাদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনে মামলা না করে রবিবার রাতেই দু’পক্ষের দুজনের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দিয়েছেন।’

জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে ট্রেনের কেবিন থেকে আটক ওই ছাত্রীকে তার বাবার জিম্মায় এবং কলেজটির গভর্নিং বডির সদস্য একজন শিক্ষকের জিম্মায় অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়েছি। তিস্তা ট্রেনের কেবিনের একটি কামরায় অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর ঘটনা নিয়ে সার্বিক বিষয় উল্লেখ করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছি।’ 

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কলেজের গভর্নিং বডির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ট্রেনের কেবিনের একটি কামরায় অধ্যক্ষ ও এক ছাত্রীর অবস্থান নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই অধ্যক্ষকে তার কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জরুরি বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)