পিরোজপুরে চীনা নাগরিকদের ‘করোনা ভাইরাসের’ লক্ষণ নেই

পিরোজপুরের (বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা মহাসড়ক) বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর উপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজে কর্মরত ৫৭ জন চীনা নাগরিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার পিরোজপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চীনা নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে এবং করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দুজন চিকিৎসকের একটি মেডিকেল টিম পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা এলাকায় সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত চীনের নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।

এ বিষয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসক সানজিদা আজাদ সিফা সাংবাদিকদের জানান, কুমিরমারায় চায়না ব্যারাকে যারা অবস্থান করছেন তাদের কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন কোনো তথ্য বা লক্ষণ নেই। এছাড়া তাদের মধ্যে কেউ অসুস্থও নন।

চীনা নাগরিকদের সঙ্গে আলাপের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তারের আগে-পরে কেউ চীনে যায়নি এবং কেউ চীন থেকে আসেনি।

মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসক ডা. তারিক আজিজুল্লাহ জানান, পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে পিরোজপুরে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের তেমন সমস্যা নেই। তবে তাদের নিয়মিত চলাফেরার জন্য মাক্স ব্যবহারসহ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা দিলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে তাদের জন্য আলাদা বিভাগ খোলা হয়েছে বলেও তাদের জানানো হয়েছে।

বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের প্রকল্প সমন্বয়ক ওয়াং চেঙ্ক উইং জানান, এখানে যারা কাজ করছে তারা ডিসেম্বর মাস থেকে কাজ করছে। এখান থেকে কেউ চীনে যায়নি এবং কেউ নতুন করে আসেনি। তাদের এখানে কেউ এখনো অসুস্থ হয়নি। এ ভাইরাস প্রতিরোধে সবাই নিয়ম মেনে চলাচল করছেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্রিজ গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড নামে চাইনিজ একটি প্রতিষ্ঠান ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী (বেকুটিয়া) সেতুর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত। তারা পিরোজপুরের কুমিরমারা এলাকায় থেকে ৫৭ জন চীনা নাগরিক এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)