টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৫৭

সারাদেশে সোমবার থেকে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার শুরু হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সারাদেশে অভিন্ন থাকার কথা থাকলেও টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভুলবশত ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাঙ্গাইলের সবকেন্দ্রে ‘৩ (সোয়াত)’ সেটের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। কিন্তু এই কেন্দ্রটিতে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে ‘১ (কাশ্মীর)’ সেটের প্রশ্নপত্র দিয়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করে। এতে তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) বজলুর রশিদ জানতে পেরে তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে এসে পরীক্ষার উত্তরপত্র এই প্রশ্নপত্রের আলোকে মূল্যায়ন হবে বলে আশস্ত করায় পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে।

জানা যায়, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও সৃষ্টি শিক্ষা পরিবারের মোট ৯০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। প্রত্যেকেই ‘১ (কাশ্মীর)’ সেটের প্রশ্নপত্র পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানা বলেন, আমার স্কুলে আমরা যে কয়জন দায়িত্বে ছিলাম সবাই এক নম্বর সেটের ম্যাসেজ পেয়েছি। সেই এক নম্বর সেটের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যার এসে পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বোর্ডে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম বলেন, বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ট্যাগ অফিসারসহ সবার সমন্বয়ের অভাবে ভুলটি হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, জেলায় ৭৯ কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ৫৪২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তার মধ্যে শহরের বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ নম্বর সেটে যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। এটা শিক্ষকদের গাফিলতি। যত ঝামেলাই থাক গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করা উচিৎ ছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) বজলুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি, শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের পরীক্ষার উত্তরপত্র এই প্রশ্নপত্রের আলোকে মূল্যায়ন হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :