জাদুকাটার ৩০ হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজি বন্ধে চক্রান্ত

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৪২

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী জাদুকাটা নদীর উত্তোলিত বালু ও পাথর দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জাদুকাটা নদীর শুকিয়ে গেলেও ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিক নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন বংশপরম্পরায়। আর তাদের ব্যবহার করেই একটি অধিক মোনাফালোভী চক্র কোটি কোটি টাকার বালু ও পাথর বিভিন্ন স্থানে স্টক করেছেন। সেই বালু ও পাথর অধিক দামে বিক্রি করার জন্য তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে এই নদীর পুরনো পাড় কাটার ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দিয়ে এবং মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নদী বন্ধের পাঁয়তারা করছেন। আর নদী বন্ধ হলে ১৫ টাকার বালু হবে ৪০ টাকা, আর ৩০ হাজার দিনমজুরসহ তাদের পরিবারের লক্ষাধিক সদস্য অর্ধহারে-অনাহারে দিনপার করবে।

জানা গেছে, জাদুকাটা নদীর বালু ও পাথর সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের চাহিদার কারণে বালু-পাথর উত্তোলন করে কার্গো, বড় ও ছোট দেশীয় নৌকা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরের নৌপথ দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। অধিক চাহিদার কারণে মোনাফালোভী একটি চক্রটি প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার লালপুর, গজারিয়া, দুলভপুর ও ছাতক উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু স্টক করে রেখেছেন। জাদুকাটা নদী বন্ধ করতে পারলেই এই স্টক করা বালু ও পাথর কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যে করার উদ্দেশ্য। এজন্য ওই চক্রটি এখন জাদুকাটা নদীর পুরনো পাড় কাটার ছবি প্রচার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে হাজার হাজার শ্রমিকদের পেটে লাথি মারার অপচেষ্টায় লিপ্ত। শ্রমিকরা জানান, নদীতে কাজ করে যা উপার্জন হয়- তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে। নদী বন্ধ হলে না খেয়ে থাকতে হবে। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। প্রশাসন যেন ওইসব অপ্রপ্রচারকারীদের কঠোর হস্তে দমন করে তার দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে ইজারাদাররা বলেন, এই ইজারার অধিকাংশ জায়গার অবস্থান হচ্ছে নদীর পাড়ে। পরিবেশ ও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা নদীর পাড়ে না গিয়ে নদীর মধ্যেই বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, জাদুকাটা নদীতে কোন অনিয়ম হলে পুলিশ কাউকে ছাড় দেবে না। সে যত বড় ক্ষমতাশালী হোক- তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি বলেন, পরিবেশ সরকারি নিয়ম মেনে জাদুকাটা নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলন করাসহ যে কোন কাজ করা যাবে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কোন ছাড় পাবে না কেউ।

(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :