মার্কিন হামলায় আল কায়েদার আরব উপদ্বীপের প্রধান নিহত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার আরব উপদ্বীপের প্রধান কাসিম আল রামি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাসিম ২০১৫ সাল থেকে আরব পেনিনসুলার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলেও জানান ট্রাম্প।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ২০০৯ সালে ইয়েমেন ও সৌদি আরব অঞ্চলে আল-কায়েদাদের জঙ্গিদের নিয়ে আরব পেনিনসুলা (একিউএপি) গড়ে তোলা হয়। সংগঠনের উদ্দেশ্যে ছিল মার্কিন সমর্থিত পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাব এ অঞ্চলে বিনষ্ট করা।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে কাসিমের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছে। তবে কবে, কোথায়, কিভাবে কাসিম নিহত হয়েছে, বিবৃতিতে তা উল্লেখ ছিল না।
বিৃবতিতে বলা হয়, ‘তার মৃত্যুর কারণে আরব পেনিনসুলা এবং বিশে^ আল-কায়েদার কার্যক্রম আর শ্লথ হয়ে পড়বে। আর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো থেকে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি আরো কমে আসবে।’
‘‘কাসিমের মৃত্যুর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের স্বার্থ এবং আমাদের বন্ধুরা নিরাপদ থাকবে’’
২০১৫ সালে আরব পেনিনসুলার সাবেক প্রধান মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহতের পরে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেকগুলো সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের শুরুতেও কাসিমের নিহতের গুঞ্জন ওঠেছিল। পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি আল রাইমির একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। যেখানে কাসিম জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে গুলির ঘটনায় তারা জড়িত ছিল।
মার্কিন ওই নৌ ঘাঁটিতে গত ডিসেম্বরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পরে ওই অডিও রেকর্ড করা হয়।
১৯৯০ সালে আফগানিস্তানে আল-কায়েদার ক্যাম্পে প্রশিক্ষক ছিলেন কাসিম। ২০০৪ সালে সে ইয়েমেনে যায়। সেখানে ইয়েমেনের রাজধানীতে পাঁচটি বিদেশি দূতাবাসে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছর কারাভোগ করে।
ইয়েমেনে আল-কায়েদাকে পুনরায় সংগঠিত করার ক্ষেত্রে কাসিম নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা আরব পেনিনসুলাকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাহিরে সবচেয়ে সক্রিয় গোষ্ঠী হিসেবে দাবি করেছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/আরআর)