সমকালীন কথনমালা নিয়ে ‘আরোপিত এই নগরে’

এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ পাচ্ছে কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও গণমাধ্যমকর্মী বিনয় দত্তের জনপ্রিয় সমকালীন কথনমালা বিষয়ের ওপর বই  ‘আরোপিত এই নগরে’। সমসাময়িক নয়টি বিষয়ের ওপর ১৬টি প্রবন্ধের সংকলন। পুথিনিলয় প্রকাশনী বইটি প্রকাশ করছে। পাওয়া যাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মেলা প্রাঙ্গণের দুই নম্বর প্যাভিলিয়নে।

বইটি সম্পর্কে বিনয় দত্ত বলেন, ‘আমি মহাকাল দেখিনি, সমকাল দেখেছি। তাই সময়ের কাল বা ঘটনাকে ফ্রেমে বেঁধেছি ‘আরোপিত এই নগরে’ এর মাধ্যমে। বইটি গল্প, উপন্যাস বা শক্তপোক্ত প্রবন্ধের বই নয়। এটিতে মূলত আমি গত এক -দেড় বছর সময়ের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাকে আয়েশী ঢঙে জানানোর চেষ্টা করেছি। বইটিকে সমকালীন কথনমালার গ্রন্থ বললে ভুল বলা হবে না।

মূলত আমি কথাসাহিত্যের মানুষ। তাই সবসময় গল্প বলতে ভালোবাসি। যেকোনো লেখাতেই আমি মনের অগোচরে নিরেট একটা গল্প বলি।

বইটি সম্পর্কে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মতামতে বলেন, ‘কিছুদিন আগে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক কর্মী বিনয় দত্তের ‘অমৃতায়ন’ গ্রন্থটি ঘেঁটে ভালো লেগেছিল। তাই এই লেখকের ‘আরোপিত এই নগরে’ শীর্ষক পাণ্ডুলিপিটি উৎসাহ সহকারে হাতে নেই। হতাশ হইনি। সমসাময়িক বিষয়াবলীর নয়টি বিষয়ের উপর ষোলটি প্রবন্ধের সংকলন। এক ধরনের নাগরিক আলেখ্য। সমকালীন গদ্য সাহিত্যের অন্যতম একটি বিকাশমান ধারা হচ্ছে প্রকৃত তথ্যভিত্তিক নিবন্ধ। সাহিত্যের এই ধারার অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে - নগর পটচিত্র বা নগর আলেখ্য। এখানে নগর জীবনের কৃষ্ণময় দিকগুলোর শানিত ভাবে স্থাপন করে তার অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্বগুলোকে হৃদয়গোচর করা হয়। এখানে সত্য-মিথ্যার বিচার হয় না, এখানে থাকে বাস্তবতার উপলব্ধি, প্রাধান্য পায় পর্যবেক্ষণ ও তার সাথে একাত্ববোধ। এখানে সামগ্রিক বস্তুনিষ্ঠতার বদলে মনযোগ পায় খণ্ডিত সত্যের ওপর অন্তর্দৃষ্টির প্রতিফলন।’

এর আগে ২০১৭ সালে  বিনয় দত্তের ‘চিলতে মেঘ ও কুহুকেকার গল্প’ নামের ছোটগল্পের গ্রন্থ, ২০১৮ সালে ‘অমৃতায়ন’ নামের উপন্যাস এবং ২০১৯ সালে ‘এই শহর সুবোধদের’ নামের সমকালীন কথনমালার গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এইবারও তার সমকালীন কথনমালার গ্রন্থ প্রকাশিত হলো।

(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/জেআর/জেবি)