বিজয় একাত্তর হল সংসদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ 'বর্ণ পরিচয়'

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৪ | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন খাবারের অভাব পূরণ করে ক্যান্টিন ও 'সোনার বাংলা' মেস। সেখানে শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে কাজ করে বেশ কিছু শিশু। তাদের অনেকেই এই কাজের মাধ্যমে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এসব শিশুকে অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দিতে বিজয় একাত্তর হলে চালু হচ্ছে 'বর্ণ পরিচয়' স্কুল।

হল সংসদের উদ্যোগে এই স্কুলের কার্যক্রম রবিবার থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা হল সংসদের সদস্য রেজাউল রাইয়ান। হলের একটি কক্ষে এই স্কুল চালু হবে বলে জানান তিনি।

হল সূত্রে জানা যায়, ক্যান্টিন ও মেসে কাজ করে অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোর। এদের মধ্যে অক্ষরজ্ঞান নেই এমন সংখ্যা ২০ এর কাছাকাছি। আর এসব শিশুকে অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দিতে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।

রেজাউল রাইয়ান ঢাকা টাইমসকে বলেন, যাদের অক্ষর জ্ঞান একদমই নেই অর্থাৎ যারা নিজের নাম লিখতে পারে না, বর্ণ পরিচয় জানে না তাদেরকেই মূলত আমরা এই স্কুলের আওতায় নিয়ে আসছি। তবে কয়েক ক্লাস পড়েছে এরকম কেউ যদি আগ্রহ প্রকাশ করে তাদেরকেও আমরা নিয়ে আসবো।

রাইয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের হল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছি। ভবিষ্যতে আশেপাশের হলসহ ক্যাম্পাসে ভাসমান বা কর্মরত শিশু, যাদের অক্ষরজ্ঞান নেই, তাদেরকেও নিরক্ষরতা থেকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমাদের মূলত লক্ষ্য আশেপাশের শিশুদের নিরক্ষতার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে সাক্ষরতার হার বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বর্ণ পরিচয় স্কুল সম্পর্কে হল সংসদের সহ-সভাপতি সজিবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাদের হলের ক্যান্টিনে এবং মেসে অনেক বাচ্চা ছেলে আছে যারা জীবিকার তাগিদে এখানে এসে কাজ করে। তাদের অনেকের অক্ষরজ্ঞান একেবারেই নেই। আবার অনেকে আছে অল্প কিছু পড়াশোনা করেছে, কিন্তু প্রাইমারি লেভেল শেষ না করেই তাদের পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমরা হল সংসদ সবসময় চেয়েছি এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুর পাশে থাকতে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের এ উদ্যোগ।

তাদের এই কার্যক্রমে যে কেউ শিশুদের জন্য খাতা কলম বা অন্য কোনো শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন বলে জানান তিনি। কাজটি চলমান রাখতে সবার সহযোগিতাও চান সজিবুর রহমান।

'বর্ণ পরিচয় স্কুল' এর উদ্যোগের পেছনে প্রেরণা কী জানতে চাইলে হল সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুই মূল প্রেরণা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন, শিক্ষায় উন্নত একটি দেশ, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এই বর্ণ পরিচয় স্কুলের মাধ্যমে যদি কেউ অক্ষরজ্ঞান লাভ করে নিরক্ষরতা থেকে মুক্তি পায় এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বিজয় একাত্তর হল প্রতিষ্ঠিত হয়। গত বছরের ডাকসু নির্বাচনে হল সংসদে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে আসছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/ইএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে তিন ইউনিটে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন

জাবি অধ্যাপক তারেক চৌধুরীর গবেষণা জালিয়াতিতে তদন্ত কমিটি

বিএসএমএমইউর ১২৪ শিক্ষক-চিকিৎসক ‘গবেষণা অনুদান’ পেলেন সাড়ে ৪ কোটি টাকা

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন

বুয়েটে রাজনীতি: হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা

মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য হলেন আতিকুর রহমান

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা প্রদানে নির্দেশ উপাচার্যের

বরিশালে ভিবিডির 'হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ ও সচেতনতা' বিষয়ক ক্যাম্পেইন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :