টায়ার চুরিতে বাধা দেয়ায় হেলপারকে হত্যা

ফরিদপুরে গাড়ির নতুন দুটি টায়ার চুরিতে বাধা দেয়ায় ঘুমের মধ্যে চালকের সহকারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে এ তথ্য। শনিবার বিকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গত ২৪ অক্টোবর ভোরে ফরিদপুর-খুলনা রুটে চলাচলকারী নিউ নূপুর পরিবহনের একটি বাসকে ভাঙ্গা উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায় পাওয়া যায়। ওই বাসের মধ্যে থেকে সাদ্দাম শেখ (২২) নামে ওই বাসের হেলপারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সাদ্দাম শেখ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে। নূপুর পরিবহনের ওই বাসটি প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাতে ওই বাসটি ফিরে এসে নতুন বাসস্ট্যান্ডে থাকে। ওই বাসে ঘুমিয়ে ছিলেন সাদ্দাম।

এ ঘটনায় নিউ নূপুর পরিবহনের মালিক শহরের ঝিলটুলী মহল্লার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, এ মামলার তদন্ত পরে গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়। তদন্তে জানা যায়, ওই হত্যার পরে গত ১৬ নভেম্বর একটি ইজিবাইক ছিনতাই ও চালককে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি কারারুদ্ধ শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা জনি মোল্লা, একই এলাকার মেহেদী আবু কাওসার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা বলেন, নূপুর পরিবহনের ওই বাসের দুটি নতুন টায়ার রিং চুরিতে বাধা পেয়ে সাদ্দামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ হত্যায় তাদের দুজনের সঙ্গে আরও চারজন অংশ নেয়।

তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম থেকে সাজ্জাদ হোসেন মাতুব্বর ও ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের বদরপুর এলাকার আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বলেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর হোসেনকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ওভারব্রিজ থেকে এবং সাজ্জাদকে ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)