পটুয়াখালীতে কলেজছাত্রের পা গুঁড়িয়ে দেয়ায় মামলা
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষাথী জাকারিয়া হাওলাদার আবিরের দুই পা গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদারের ছেলে হাসিব হাওলাদারসহ ১৭ জনের নামে মামলা করেছেন আহত আবিরের বাবা রুহুল আমিন। শুক্রবার রাতে কলাপাড়া থানায় এ মামলা করা হয়।
আহত আবির বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতের পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ ফেব্রুয়ারি আবির ও তার বন্ধু মাইনুল প্যাদা মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি চাকামইয়া থেকে কলাপাড়া উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গামুরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হামলাকারীরা রাস্তায় গাছের গুঁড়া ফেলে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই চেয়ারম্যানের ছেলে হাসিব, তার সহযোগী হাসান গাজী, মোস্তফা হাওলাদার, সিদ্দিক, নাসির উদ্দিন, রুবেলসহ অন্তত ১৭ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবিরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মারধরের একপর্যায়ে হামলাকারীরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আবিরের দুই পায়ে মারাত্মক আঘাত করে। হামলার পর স্থানীয়রা আবিরকে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বরিশাল মেডিকেল কলেজের বরাদ দিয়ে আবিরের বড় ভাই নেছার জানান, আবিরের সুস্থ্য হতে বড় ধরনের অস্ত্রপোচারের প্রয়োজন এবং চার থেকে পাঁচ মাস বিছানায় থাকতে হবে।
আবিরের বাবা রুহুল আমিনের অভিযোগ, বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জের ধরে তাদের মধ্য কলহ চলে আসছে। ওই ইউনিয়নে আবিরের চাচা মৃত আব্দুল মান্নান বিগত দিনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছিল। আবিরের বড় বোন পরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এমন ধারনায় তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে তৎপর রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)