দাফনের তিন মাস পর কিশোরের লাশ উত্তোলন
দাফনের সাড়ে তিন মাস পর আদালতের নির্দেশে হত্যার শিকার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ কবর থেকে তুলেছে পুলিশ। ফরিদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলি আদালতের আদেশে মধুখালী থানা পুলিশ লাশটি তুলেছে। নিহতের নাম ইসহাক শেখ।
সোমবার মামলার বাদী আব্দুর রহমান শেখের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলার কোরকদি ইউনিয়নের চরবাঁশপুর গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে ইসহাক শেখকে (১৪) রাতের অন্ধকারে নিজস্ব বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে যান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুকুল হোসেন। তার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতনে ইসহাক শেখ মারা যায়।
অবস্থার বেগতিক দেখে চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় লাশ। পরদিন আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন চেয়ারম্যান। লাশ স্বজনদের কাছে না দিয়ে নিজস্ব লোকজন দিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে কবর দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী বাগাট ইউনিয়নের বাগাট কবরস্থানে।
নিহতের মামা আব্দুর রহমান গত ২২ ডিসেম্বর ফরিদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ এনে মামলা দিলে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তোলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা মনোয়ার জানান, আদালতের নির্দেশে সোমবার থানা পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কবরটা চিহ্নিত করে লাশ তুলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের খালু সালাম অনাপত্তি দিলে ওই সময় থানা পুলিশ লাশ দাফনের অনুমতি দেয়। বর্তমানে নিহত ইসহাকের মামা আব্দুর রহমানের মামলার ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)