যে ঘুমে শান্ত হবে চঞ্চল শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:২৪ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৫২

মানব জীবনে শ্রেষ্ঠ বিস্ময় শিশু। শিশুদের প্রাণখোলা হাসিতে মুর্হূতের মধ্যেই হৃদয়ে উচ্ছ্বাসের সঞ্চার হয়। যেকোনো গম্ভীর পরিবেশ মুহূর্তের মধ্যেই পরিবর্তন হয়ে যায়। সাধারণত কিছু শিশু চঞ্চল প্রকৃতির, আবার কিছু শিশু শান্ত স্বভাবের হয়। যাদের স্বভাব শান্ত তাদেরকে নিয়ে বাবা-মার বেশি বেগ পেতে হয় না। কিন্তু যারা কিছুটা চঞ্চল প্রকৃতির, তাদেরকে বশে আনতে প্রতিটি বাবা-মার ভালোই বেগ পেতে হয়।

সম্প্রতি আমেরিকার হেলথ অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংস্থা দেশটির কয়েক’শ শিশুর ওপর এক গবেষণা পরিচালনা করে। গবেষণার বিষয় ছিল-শিশুদের ঘুম।

গবেষণায় জড়িত বিজ্ঞানীদের দাবি, চঞ্চল প্রকৃতির শিশুরা প্রতি দিন যে পরিমাণ সময় ঘুমায়, তার চেয়ে দৈনিক মাত্র এক ঘণ্টা বেশি ঘুমালেই সে অনেক বেশি শান্তশিষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞানীরা আরো জানায়, সাধারণত কোনো শিশু ক্লান্ত ও বিরক্ত থাকলেই সে বেশি দুষ্টুমি করে। কারণ নিজের মনের অনুভূতি কিভাবে অন্যের নিকট প্রকাশ করতে হবে তা শিশুরা জানে না। এ কারণে যখন সে ক্লান্ত ও বিরক্ত থাকে, তখন দুষ্টুমির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুমালেই শিশুদের দুষ্টুমি অনেক কমে যাবে।

আমরা সবাই জানি, সকালে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। ফলে সারাদিন উৎফুল্ল হৃদয়ে যেকোনো কাজে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকে। বাবা-মারা সকালে শিশুদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।

সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মতে, রাতের বেলায় শিশুরা যেন পর্যাপ্ত ঘুমায়, প্রতিটি বাবা-মায়ের তা নিশ্চিত করা উচিত। এছাড়া শিশুকে ‘আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ’-এর অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি টিভি আর স্মার্ট ফোনের প্রতি আসক্তি কমানো জরুরি। অন্যথায় তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবে না। তাদের মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকবে।

অনেক শিশু ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার’ বা এডিএইচডি নামক এক প্রকার মানসিক রোগে ভোগে। বিজ্ঞানীদের মতে, এডিএইচডি আক্রান্ত শিশুরা পর্যাপ্ত ঘুমালে অনেক শান্ত হয়ে যেতে পারে।

(ঢাকা টাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/আরআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :