আলফাডাঙ্গার ঢাকাটাইমস প্রতিনিধির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:৩৪ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:১৬

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দৈনিক ঢাকা টাইমসের উপজেলা প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

কামারগ্রাম কবরস্থানের পাশে মুজাহিদের বাড়িতে যখন হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না বলে প্রাণে রক্ষা পান।

মুজাহিদ বলেন, ‘হামলাকারীরা রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়িতে ভাঙচুর করে একটি শ্যালো মেশিন, ১১টি খোঁয়াড়ের মুরগি এবং ঘরে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা লুটে করে নিয়ে গেছে। এছাড়া শোকেজে থাকা তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়, যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা ‘

 

একজন প্রত্যক্ষদর্শী টেলিফোনে জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের নেতৃত্বে রিশাদ, রিশাদের বাবা শহীদুল, আবুল হাসানসহ আট-দশজন লোক রামদা-লাঠিসোটা নিয়ে মুজাহিদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা মুজাহিদকে বাসায় না পেয়ে তার বাবা-মাকে গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং তাদের ছেলেকে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে বলে যায়।

মুজাহিদ জানান, চেয়ারম্যান ইনামুলের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশে তার হাত রয়েছে ধারণা করে এ হামলা চালানো হয়।

তিনি আরও জানান, আমার বাবা আবু বকর সিদ্দিক হামলাকারীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে চেয়ারম্যান বাবাকে চড়-থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারেন। পরে ঘরের জানালা-দরজা, পানির ট্র্যাঙ্ক ভাঙচুর করেন। এতে আমাদের দেড় লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসময় বাড়িতে থাকা একটি ডলফিন সেলোমেশিন ও ঘরে থাকা ৯০ হাজার টাকা লুটে করে নিয়ে গেছে। এছাড়া শোকেজে থাকা তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়, যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪ মিনিটে প্রথমবার ও ১১টা ৩০ মিনিটে দ্বিতীয়বার মুজাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় ০১৭২৪৭১৭০৩৯ নম্বর থেকে। ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ওই হুমকি দেন বলে জানান মুজাহিদ। সেদিন মুজাহিদকে বারবার বাড়ির বাইরে বেরোনোর জন্য টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হলেও তিনি বের হননি।

এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মুজাহিদ। তিনি বলেন, ‘ইনামুল হাসানের দেওয়া হুমকির পর থেকে আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকি। যেকোনো মুহূর্তে আমার ওপর হামলার আশঙ্কা করছিলাম। তাই আমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি আমি লিখিত আকারে আলফাডাঙ্গা থানায় অবহিত করেছি।’

সাংবাদিক মুজাহিদের বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, স্থানীয় থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেখানে আছেন।

ওসি রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে আছেন নিশ্চিত করে এই প্রতিবেদককে বলেন, তারা হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/ইএস/মোআ)