বইমেলায় রিপন আহসান ঋতুর উপন্যাস ‘গল্পের মোড়কে মানুষ’

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে কথাসাহিত্যিক রিপন আহসান ঋতুর প্রথম উপন্যাস ‘গল্পের মোড়কে মানুষ’। বইটি প্রকাশ করছে শুদ্ধপ্রকাশ। বইটি শুদ্ধপ্রকাশের ৭০২ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ্ছদ করেছেন চারুপিন্টু।

উপন্যাস সম্পর্কে লেখক জানান, ‘উপন্যাসের কাহিনিতে আছে মায়া। আছে প্রেম আর শূন্যতা। আছে বিশ্বাস আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ি, উত্তাল কাশ্মীরের শ্রীনগর শহর জুড়ে এই উপন্যাসের বর্ণাঢ্য প্রেক্ষাপট। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা অমিয় বলতে চেয়েছিল তার নিজের গল্প। ভয়ংকর কঠিন সত্যে মোড়ানো গল্পটা হতে পারতো একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস। কিন্তু মহাকালের পথে হাঁটতে হাঁটতে যাদের সাথে দেখা হয় অমিয়র, তাদের প্রত্যেকের জীবনই অন্যরকম সব কাহিনিবৃত্তে ভরা। সে জীবন আরো জটিল মায়ার ঠাসবুনটে মোড়ানো এবং কৌতূহলোদ্দীপক। সেখানে হর্ষ-বিষাদের নানা রং বেরঙের ঘুড়ি ঘাই মারে প্রতি মুহূর্তে। হাসনাহেনা নামের একটা মেয়ে ছিল অমিয়র মনের মানুষ। অথচ রুপা আর বন্যা নামের বন্ধুরাই হাসনাহেনার জানের জান পরানের আধখান। চিত্রশিল্পী সিঁদুল, সাগুফতা আর ডালিয়া অমিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। ডাক্তার শাহনাজ আর কাশ্মীরের ছাত্রনেতা সারাফ উভয়ই চরিত্রই অসাধারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কমরেড হুদা স্যার, গাছপাগল আবদুল কাদের, অঙ্কের মাস্টার জহির, তুলসী, আমলকী প্রত্যেকেই কমবেশি কাহিনির নিজস্বতা অর্জনে সহায়ক।’

উপন্যাসে লেখক সামান্য ইঙ্গিত থেকেই ব্যক্তি বিশেষের বহুমাত্রিক ছবি এঁকেছেন। পুরো উপন্যাস জুড়েই রয়েছে ভাষার কাব্যিক সুবাস। ভাষাশৈলীর এই কাঠামোটি বাংলা উপন্যাসের পরিচিত ধাঁচের চেয়ে একটু আলাদা। উপন্যাসে ঘটেছে বিষয় এবং লিখনশৈলীর বিস্তর সমাবেশ। সমকাল এবং অতীতের মেলামেশা এই উপন্যাসে দিয়েছে বিরল সৌন্দর্য। ‘গল্পের মোড়কে মানুষ’ উপন্যাসে লেখক বলতে চেয়েছিল যে শূন্যতার গল্প, সেই একক গল্পের সঙ্গে আলাদা আলাদা আরো অনেক গল্প মিলেমিশে হয়ে উঠেছে একটি বৃহৎ জীবনাখ্যান। বাস্তব জীবনের এমন বিচিত্র চালচিত্রই এই উপন্যাসের শক্তি।
রিপন আহসান ঋতুর অন্যান্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘যাদুর নীল বেলুন’ (গল্পগ্রন্থ), ‘অতঃপর প্রহসন’ (প্রবন্ধগ্রন্থ)। লেখক বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ঢাকায় কর্মরত।

(ঢাকাটাইমস/ ১২ ফেব্রুয়ারি/ এইচএফ)