লেবাননে ৪৭১ জনকে বিমান টিকিট দিলো বাংলাদেশ দূতাবাস

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:০৯

ওয়াসীম আকরাম, লেবানন

স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ৪৭১ জন প্রবাসী  বাংলাদেশিকে বিমানের টিকিট দিয়েছেন বৈরুত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার। দেশে ফিরতে যারা প্রথম ধাপে নাম নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকে নারী-পুরুষ, অসুস্থ ২৪ জনসহ মোট ৪৭১ জনকে  জেনারেল সিকিউরিটি থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে এক্সিস্ট ভিসা  পাওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের টিকেট দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস।

পূর্ব নির্ধারিত সময়  সকাল ৯টা থেকে নারী এবং দুপুর ২টায়  পুরুষ কর্মীদের টিকেট  দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। টিকেট পাওয়া প্রবাসীরা আগামী ১৫ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ছয়টি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। শুধু এক বছরের জরিমানা ও বিমান টিকিটের টাকা জমা দিয়ে  গত সেপ্টেম্বরে তারা  নাম নিবন্ধন করেন দূতাবাসে।  এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিভিন্ন ফ্লাইটে প্রায় ৫০০ জন বৈধ কাগজপত্রহীন প্রবাসী দেশে ফেরত গেল।  

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, লেবানন জেনারেল সিকিউরিটিতে যেই নতুন নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের মার্ক নিয়ে সপ্তাহে ৫০ জন প্রবাসীর ছাড়পত্র দেয়ার কথা। তাদের সঙ্গে অনেক দেন-দরবারসহ   অনেক কষ্টের বিনিময় বুঝিয়ে বলার সক্ষম হয়েছেন রাষ্ট্রদূত। সমস্যা সমাধান হওয়ার পর তারা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায়। ফলে এবারে ফ্লাইট দিতে  কিছুটা বিলম্ব হলেও নিবন্ধনকৃত বাকিদের জন্য সহজ হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত বলেন, গত পাঁচ থেকে ছয় মাস লেবাননের  অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে হঠাৎ প্রবাসীদের কাজ নেই, যাদের কাজ আছে তাদের মালিক ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না। লেবানিজ মুদ্রায় বেতন পেয়ে মানিগ্রামসহ বিভিন্ন মাধ্যমগুলো গ্রহণ না করাতে প্রবাসীরাও নিজ দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকে (১০ থেকে ১২ বছরের অধিক বসবাসকারীরা) দেশে ফিরতে  আগ্রহী ছিল। কিন্তু বর্তমানে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে তারা সবাই একসঙ্গে চলে যেতে চাচ্ছেন।

আব্দুল মোতালেব বলেন, প্রথম  ও দ্বিতীয় ধাপে প্রায় পাঁচ হাজার প্রবাসীর  নাম নেয়া হয়েছে। আরো বেশি নেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দূতাবাসের আশেপাশে আরও যে অফিস-আদালত আছে তাদের সমস্যা হচ্ছে  প্রবাসীদের জড়ো হওয়ার কারণে। তাদের অনুরোধে নাম নেয়া স্থগিত করে দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সব প্রবাসীর নাম নেয়ার সুবিধার জন্য দূতাবাস চাচ্ছে একটা স্টেডিয়াম বা একটা কমিউনিটি সেন্টার। এমন স্থান পাওয়া গেলেই অচিরে আবার নাম নেয়া শুরু করবেন। এই ধাপে স্বেচ্ছায় ফিরতে আগ্রহী সবার নাম নেয়ার আশ্বস্ত করে  সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)