বিশ্বের বৃহত্তম ফুলের বাগানে

ফিচার প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৩ | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫২

বিশ্বের মানুষ ফুল ভালবাসে না এমন লোক খুব কমই আছে। ইউরোপ-আমেরিকায় বসন্তের শুরুতে ফুলের চারা, মাটি আর ঘাস বিক্রি করে কুল পায় না দোকানিরা। অবাক বিষয় হচ্ছে কিছু কিছু ফুলের গাছ আছে যেগুলো এক ঋতুতেই শেষ। এক জীবনে ফুল একবারই ফোটে। এসব দেশে ফুল ভালোবাসে না এবং ফুল আদান-প্রদান করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এমন বাড়ি নেই যে বাড়ির আঙ্গিনায় একটি ফুলের গাছ নেই। বিশ্বের বৃহত্তম ফুলের বাগান নেদারল্যান্ডের কেউকেনহোফ। বিশেষ করে টিউলিপ ফুলের জন্য বিখ্যাত। অথচ মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে নেদারল্যান্ডে টিউলিপের দাম স্বর্ণের চেয়ে বেশি ছিল!

প্রতি মৌসুমে ১০ লক্ষ মানুষ কেউকেনহোফ পরিদর্শন করে। নেদারল্যান্ডের পশ্চিমে লিস শহরে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ফুলের বাগান কেউকেনহোফ ফ্লাওয়ার গার্ডেন। এটি ইউরোপের বাগান নামেও পরিচিত।

"বসন্ত" শব্দটি সত্যিকার অর্থে বোঝার জন্য, কেউকেনহোফের চেয়ে কোনও ভাল স্থান নেই। এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে কিভাবে পৃথিবী দ্রবীভূত, রূপান্তরিত, পূর্ণ এবং সুগন্ধি হয়। এখানে সুন্দর ছবির জন্য, রঙের জন্য, সুবাসের জন্য এবং এই বিশ্বের বৈচিত্র্যের কোন সীমা নেই বলে বোঝার জন্য এখানে আসে।

বাগানটি ১৯৪৯ সালে লিসের মেয়র কর্তৃক স্থাপিত হয়। তখন একটি ফুলের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় এখানে। উদ্দেশ্য থাকে, যেন নেদারল্যান্ড ও ইউরোপের সব থেকে শ্রেষ্ঠ ফুল উৎপাদনকারীরা এখানে তাদের হাইব্রিড প্রদর্শন করতে পারেন এবং রপ্তানি শিল্পে নেদারল্যান্ডসকে ফুলের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে সাহায্য করতে পারে।

কেউকেনহোফ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী বছরে প্রায় ৭ মিলিয়ন ফুলের বাল্ব বা চারা রোপণ করা হয় বাগানটির ৩২ হেক্টর (৭৯ একর) এলাকা জুড়ে।

কেউকেনহোফ মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে পর্যন্ত খোলা হয়। প্রধানত টিউলিপ ফুলের বিশাল এক জগত যেন এই বাগান। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এটা দেখার শ্রেষ্ঠ সময় মধ্য এপ্রিল এবং এর কাছাকাছি।

টিউলিপ ফুল ছাড়াও এখানে রয়েছে ব্লুবেলস, হায়াসিন্থ, নার্সিসি, লিলি এবং ড্যাফোডিল-এর মতো জনপ্রিয় ফুল। । বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিলি শোর গার্ডেন হিসেবেও বাগানটি পরিচিত ।

কেউকেনহোফ সম্পর্কে আরেকটি আকর্ষণীয় জিনিস ফুলপ্রেমিদের জানা প্রয়োজন যে, প্রতি বছর বাগানে বিভিন্ন থিম বাস্তবায়ন করা হয়। বাগানের সৌন্দর্য অন্বেষণ করার জন্যে ১৫ কিমি দীর্ঘ হাঁটা পথ রয়েছে। ৪৫ মিনিটের দীর্ঘ নৌকা যাত্রায় আরেকটি দৃষ্টিকোণ থেকে বাগানের ঐন্দ্রজালিক দৃষ্টিভঙ্গি উপভোগ করা যায়।

কেউকেনহোফ ফুলের বাগানে অনেক শিল্পকর্ম ভাস্কর্য এবং ঝর্ণা রয়েছে। ফুল যারা ভালোবাসেন তাদের জন্যে কেউকেনহোফ এক প্রাকৃতিক রঙের জগত।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :