জামালপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৯

জামালপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন গ্রামের কৃষকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা চলে এ বিক্ষোভ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসে বিক্ষোভ করেছেন জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ নম্বর ফিডারের রামনগর, তেঁতুলিয়া ও টুপকার চর গ্রামের কৃষকেরা।

এ সময় তারা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সহকারী প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ নম্বর ফিডারের রামনগর এলাকার গ্রাহক শহর আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মজনু আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, ‘জামালপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর আকন্দবাড়ির সামনে থেকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিকল হয়ে যায় দুটি ট্রান্সফর্মার। বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা বলে, ট্রান্সফর্মার নাই। ঢাকা থেকে ট্রান্সফর্মার নিয়ে আসতে হবে। কিছু খরচ দিতে হবে। কয়েকজন কৃষক মিলে সাত হাজার টাকা দিয়েছি। ঢাকা থেকে ট্রান্সফর্মার এসেছে। এই ট্রান্সফর্মার লাগানোর জন্য আবারও টাকা চাচ্ছেন সহকারী প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খান।’

তিনি জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেচের অভাবে এ তিন গ্রামের প্রায় পাঁচশ একর সদ্য রোপিত ইরি-বোরো ধানক্ষেত ফেটে গেছে। ইতোমধ্যেই লালচে বর্ণ ধারণ করেছে ওই অঞ্চলের সদ্য রোপিত ধানগাছ। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ওই তিনটি এলাকার পাঁচটি পোল্ট্রি ফিডের হাজার হাজার মুরগি মারা যাচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা।

১২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, ‘ট্রান্সফর্মার বিকল হবার পর এলাকার লোকজন এসে আমাকে জানায়। আমি পিডিবি অফিসে যোগাযোগ করি। গত পরশু দিন ট্রান্সফর্মার এনে তারা অফিসেই ফেলে রেখেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান ট্রান্সফর্মার লাগানোর জন্য ইয়াহিয়া খানকে বলেছেন। কিন্তু তিনি গড়িমসি করছেন।’

কৃষক প্লাবন আকন্দ বলেন, ‘আমি সেচপাম্প চালাই। অন্যদের ১৫ একর ও আমার দুই একর জমিতে পানি দেই। সাত দিন ধরে জমিতে পানি দিতে পারি নাই। ধানগাছ তো মরেই গেছে। ক্ষেত ভেঙে নতুন করে আবার লাগাতে হবে।’

নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান বলেন, ‘ট্রান্সফর্মার এসেছে। আজ সকালে লাগানোর কথা। কেন লাগানো হয়নি তা জানি না। তবে ঘুষের অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/পিএল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :