‘স্মাইলিং ইজ দ্যা বেস্ট রিভেঞ্জ’

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৫২ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৫৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জয়ের নায়ক টাইগার কাপ্তান ‘আকবর দ্যা গ্রেট’। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে চাপের মুখে গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন আকবর। ভারতীয় বোলার-ফিল্ডারদের কড়া স্লেজিংয়ের মুখে নিজের মেজাজ বিগড়ে যেতে দেননি; বরং খুব গোছোলোভাবে ম্যাচ শেষ করেছেন ফাইনালের অপরাজিত ক্যাপ্টেন কুল। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলী ‘হাসি’ দিয়েই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের মোকাবেলা করেছেন।

আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আকবরের হাসিটি ট্রেডমার্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা বিশেষ করে ফাইনালে যখন ভারতীয়রা তার বিরুদ্ধে তীব্র স্লেজিংয়ে মেতে উঠেছিল তখনো হাসি মুখে দেখা গেছে আকবরকে।

প্রচন্ড চাপের মধ্যেও ফাইনালে অপরাজিত ৪৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন আকবর আলী। এসময় ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্লেজিংয়ের মাধ্যমে চেস্টা করে গেছে তার মনোযোগ ভাঙ্গতে। তবে জবাবে তিনি তাদের উপহার দিয়েছেন ‘এক গাল হাসি’। এভাবেই তিনি তাদেরকে বাক্সবন্দী করে ফেলেন।
বইয়ের পোকা আকবর জানান তিনি অনেক বইয়ে পড়েছেন যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের প্রচন্ড ক্রোধের মোকাবেলা এবং প্রতিশোধের জন্য হাসি হচ্ছে সেরা অস্ত্র।

বৃহস্পতিবার বাড়ীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার সময় আকবর বলেন,‘ আমি কোন কোন জায়গায় পড়েছি যে হাসি হচ্ছে সেরা প্রতিশোধ। তারা আমাকে যত বেশী স্লেজিং করেছে আমিও চেস্টা করেছি হাসি দিয়ে তাদের ওই আচরণের জবাব দিতে। ’ এ সময় অন্য খেলোয়াড়দেরকেও উত্তেজনা সামাল দেয়ার পরামর্শ দেন আকবর।

তিনি বলেন,‘ সবাই যখন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল, তখন আমি মাঠে যতটুকু সম্ভব সেটিকে কমিয়ে আনার চেস্টা করেছি। আমি সবার সামনে নিজের অনুভুতি গোপন রাখারও চেস্টা করি।’

তবে আকবর বলেন বিশ্বকাপ শেষ হবার পর দক্ষিন আফ্রিকায় বাংলাদেশ ও ভারতীয় খেলোয়াড়রা ভাল সময় কাটিয়েছে। বাংলাদেশ দলনেতা বলেন,‘ হোটেলে ফেরার পর আমরা ঘনিষ্ঠ ভাবেই দুই দিন কাটিয়েছি। তাদের সঙ্গে প্রচুর গল্প গুজব করেছি। ভারতীয় খেলোয়াড় ও কোচ আমাদের প্রশংসা করেছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৩ ফেব্রুয়ারি/এআইএ)