বিভ্রান্তির ফাগুন উদযাপনের ঢেউ বইমেলায়

তানিয়া আক্তার,ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:০৯

গতবার বাংলা সন সংস্কারের পর এবারই প্রথম ফাল্গুন। বইমেলাও। নতুন পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার পহেলা ফাগুন। বসন্তের প্রথম দিন। কিন্তু পুরনো হিসাব অনুযায়ী আজই বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ উদযাপন করেছেন বসন্তবরণ। বিভ্রান্তির এই ফাগুন উদযাপনের ঢেউ লেগেছিল বইমেলায়।

আজ বেলা তিনটায় বইমেলার দ্বার উন্মোচনের পরই দেখা মেলে প্রচুর বই অনুরাগীর। প্রায় সবার পরণে বাসন্তী ছোঁয়া। মেলা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ছিল পাঠক-দর্শনার্থীর সমাগমধারা। ফলে স্টলগুলোতে বিক্রিবাট্টাও বেশ ছিল। বাসন্তী সাজে ক্রেতারা মেলা ঘুরে প্রিয় লেখকের বইটি কিনে তবে প্রাঙ্গণ ছেড়েছেন।

কাল পহেলা ফাল্গুন, বসন্তবরণ। ভালোবাসার দিনও কি? সেই সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আছে শিশুপ্রহর। বেলা ১১টা থেকে এক অর্থে উন্মুক্ত। সোনায় সোহাগা আজ বইমেলার। প্রকাশকদের বহুল কাক্সিক্ষত দিন। আজকের দিনটি সামলানোর প্রস্তুতির কথাও বলেছেন প্রকাশকরা।

ইত্যাদি প্রকাশনীর প্রকাশক আদিত্য অন্তর ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'বরাবরের মতো এবারও ভালোবাসা দিবসের আগের দিন বইপ্রেমীদের আনাগোনায় জমে উঠেছে। বিক্রিও হয়েছে ভালো। তবুও প্রত্যাশা শুক্রবারের।'

পারিজাত প্রকাশনীতে কর্মরত আনিকা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ভুল হোক আর যা-ই হোক আমাদের বিক্রি বেড়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি বিক্রি হওয়ায় ভালো লাগছে।'

ঝিঙেফুল প্রকাশনীর প্রকাশক গিয়াস উদ্দিন খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শিশুপ্রহরের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনো আছি। তবুও আজকে অনেক বিক্রি হয়েছে। সম্ভবত আজকের দিনটাকে ফাগুন হিসেবে বইপ্রেমীরা উদযাপন করেছে।'

ছুটির দিন, ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনের মিশেলে আজকের দিনটিতে আরও বেশি বই বিক্রি হবে বলে মনে করেন প্রকাশকেরা।

শিশুচত্বরে শিশুদের ভিন্নধারার বই দ্য পপ আপ ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী রুমানা শারমিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'এই সপ্তাহে শেষ দিনটিতে বেশ বিক্রি হয়েছে। এখন অপেক্ষা শিশুপ্রহরের।'

অপেক্ষা তৃতীয় শিশুপ্রহরের

গত সপ্তাহে এবারের মেলার প্রথম দুটি শিশুপ্রহর উদযাপিত হয়েছে। কালকের ছুটির দিনে শুক্রবারটি আবার দখলে যাবে শিশুদের। শিশুপ্রহরের আনন্দ উদযাপনে মেলার দ্বার উন্মোচন করা হবে সকাল ১১টায়। মেলা চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে এবারের মেলার তৃতীয় শিশুপ্রহর।

নতুন বই

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, আজ মেলার ১২তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৮০টি।

মূলমঞ্চ

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সুব্রত বড়ুয়া রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন বড়ুয়া।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন লুৎফর রহমান রিটন এবং মনি হায়দার।

সবশেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন মাহবুব সাদিক, শাহজাদী আঞ্জুমান আরা, মুনীর সিরাজ এবং মাসুদ হাসান। আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মো. শাহাদাৎ হোসেন, অনিমেষ কর এবং তামান্না সারোয়ার নীপা।

নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন জলতরঙ্গ ডান্স কোম্পানী। সংগীত পরিবেশন করেন দিনাত জাহান মুন্নী, আঞ্জুমান আরা শিমুল, কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়, মোঃ রেজওয়ানুল হক এবং সঞ্জয় কুমার দাস।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :