ট্রাম্পের ভারত সফর

অবরুদ্ধ কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মার্কিন সিনেটরদের

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার উদ্দেশ্যে ভারত সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সফরকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুসহ মানবাধিকার পরিস্থিতি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এরই মধ্যে গত ছয় মাস ধরে কাশ্মীরকে অবরুদ্ধের ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন সিনেটররা।

ট্রাম্পের বৈদেশিক সচিব মাইক পম্বেয়োকে কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের চার সিনেটর। চিঠিতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন সিনেটররা।

চিঠিতে সিনেটররা লিখেন, ‘কাশ্মীরের অধিকাংশ জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এত দিন পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধের ঘটনা নজিরবিহীন। ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কারণে সেখানকার ৭০ লাখ মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে।’

‘‘নিরাপত্তার অজুহাতে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ হাজার হাজার নাগরিককে আটক করে রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।’

গত অক্টোবরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের শুনানিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য সাংবাদিক ও কংগ্রেস সদস্যদের ভারত সরকার অনুমাতি না দেয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছিল মার্কিন কংগ্রেস। 


চিঠিতে কাশ্মীরে মোট কতজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যোগাযোগের মাধ্যমগুলি কতটা সক্রিয়, কূটনীতিক এবং বিদেশি সাংবাদিকরা আদৌ কাশ্মীরের সর্বত্র যাতায়াত করতে পারছেন কিনা, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার প্রতিবেদন প্রকাশের জন্যও ট্রাম্পের নিকট আবেদন জানিয়েছেন সিনেটররা।

এছাড়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ইস্যু নিয়েও চিঠিতে সিনেটররা মতামত প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার আরও এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে, যার কারণে একটি বিশেষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব হতে পারে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্রও নষ্ট হতে পারে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সেই পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম।’ 

এছাড়া সিএএ কার্যকর হলে ভারতে কত শতাংশ নাগরিক রাষ্ট্রহীন হতে পারেন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) কার্যকর হলে কত শতাংশ মানুষ প্রভাবিত হতে পারে, এসব বিষয়েও প্রতিবেদন প্রকাশের আবেদন জানিয়েছেন সিনেটররা। 

(ঢাকা টাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/আরআর)