হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৩ | প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:১০
নিহত চিকিৎসক মোবারক করিম

রাজধানীর মাতুয়াইল ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেনের কক্ষ থেকে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মোবারক করিম। তিনি বারডেম হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। পাশাপাশি মাতুয়াইল ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে রোগী দেখতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়েছে। রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।

তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, মোবারক করিমকে হত্যা করে ওই রুমে ঝুলিয়ে রেখেছে। পুলিশ তাদের তেমন সহায়তা করছে না।

নিহতের স্বজন মঈনুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, মাতুয়াইল ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন তার ভাইকে মোবাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেকে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা সারাদিন ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। রাতে একবার ফোন ধরে বলেন ‘ঝামেলায় আছি’এরপর তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে পরিচালকের কক্ষ থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

মঈনুলের দাবি, ‘নিহত মোবারক করিম আত্মহত্যার করার মতো ব্যক্তি ছিলেন না। তাকে কোনো কারণে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’

নিহতের চাচা শ্বশুর মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি মোবারক আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু যেভাবে লাশ দেখতে পেয়েছি সেভাবে কেউ আত্মহত্যা হতে পারে না। রুমে প্রবেশ করে দেখি গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দেয়া। এমনকি পা মাটিতে লাগানো। আর আত্মহত্যা করতে মোবারক হাসপাতালেই যাবে কেন?

তিনি দাবি করেন, হাসপাতালের পরিচালক জামালের সঙ্গে মোবারকের টাকা নিয়ে ঝামেলা ছিল। এ জন্য গতকাল দুপুরেই তাকে ডেকে নেওয়া হয় এবং সারা রাত নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।

তার অভিযোগ পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের দুই ঘণ্টা পর তাদেরকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা লাশ পাওয়ার পর হাসপাতালটির সিসি ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেনি। তাকে যে সারা রাত নির্যাতন করা হয়েছে তার প্রমাণ নিহতের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন।

এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটির পরিচালক জামাল হোসেন পলাতক রয়েছেন।

নিহত মোবারক সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। তিনি দক্ষিণ দনিয়ার একে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার দেশের বাড়ি ভোলার লালমোহনে।

চিকিৎসকের মরদেহ এখন পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি জানিয়ে ডেমরা থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করেনি। তবে আমরা জানি না কীভাবে এই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এজন্য পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ হাসপাতালের পরিচালককে কি পাওয়া গেছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘নক ইয়েট’।

(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :