শিশুদের কলরবে মুখরিত বইমেলা

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০১ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অমর একুশে গ্রন্থমেলার চতুর্থ শিশুপ্রহরে শিশু-কিশোরদের পদচারণায় জমজমাট ছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। শিশুরা সিসিমপুরে হালুম, টুকটুকিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে কিনেছে রঙিন মলাটের বাহারি সব বই। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বইমেলা।

শনিবার বইমেলায় সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিনে হালুমদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটাতে সকাল ১১টার দিকে সিসিমপুরে এসে হাজির হন শিশুরা। আনন্দ উৎসব আর বই কেনার ধুম পড়ে তাদের। ১১টায় বইমেলার দ্বার খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু কিশোরের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে শিশুচত্বর।

মেলায় ঢুকেই শিশু চত্বরের মঞ্চে ভিড় জমায় শিশুরা। লাফালাফি হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দে মেতে উঠে। একে অপরের অচেনা হলেও শিশু চত্বরের মঞ্চে খুদে খেলোয়াড়রা খেলার আনন্দ ভাগাভাগি করে। আর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকরা সারাক্ষণ সন্তানদের নজর রাখছেন।

শিশু চত্বরের পাশে ফুডকোর্ট। খেলা আর বই কেনা শেষে পেটপুরে খেয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ।

উত্তরা থেকে আমিন আহমেদ দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। তিনটা শিশুপ্রহরে থাকতে পারেননি। তাই আজ সন্তানদের সময় দিচ্ছেন।

আমিন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন সন্তানদের সময় দেওয়া উচিত। আর বইয়ের সঙ্গে শিশুদের সংযুক্ত করতে পারলে এর চেয়ে আনন্দ আর কিছুই হয় না, তাই বইমেলায় নিয়ে এসেছি।'

ছোট্ট শিপ্রা শিশুপ্রহরে ছোটকাকুর সঙ্গে এসেছে। শিপ্রা বলল, ‘আমার ছোটকাকু আমার সবচেয়ে প্রিয় কাকু। আমাকে অনেক বই কিনে দিয়েছে।’

রাক্ষস-খোক্ষসের গল্প ভালোলাগে রাফাতের। তাই তিনটি বই কিনেছে সে। রাফাত  বলল, ‘আমার পরী ভালো লাগে না। রাক্ষস খোক্ষসের অনেক শক্তিশালী হয়। তাই ওদের গল্প পড়তে ভালো লাগে।'

শিশুদের সমাগমে বেড়েছে বিক্রি। শৈশব প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জানালেন, প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। তবে শিশুপ্রহরের এ সময়টায় যেমন উৎসবের রূপ নেয় ঠিক তেমনি বিক্রিও হয় প্রচুর।

জেপুর প্রকাশনীর প্রকাশক গিয়াস উদ্দিন খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শিশুপ্রহরে মেলা অনেকটা জমে ওঠে। তখনই বেশ বিক্রি হয়। আজও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এখন বাকি ছুটির দিন এবং একুশে ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায় আছি।'

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/টিএটি/এমআর)