মেলায় দৃষ্টি জয়ের বই

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:১৮

শেখ সাইফ ও নাইমুর রহমান,ঢাকাটাইমস

বই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয় মানুষ। বই পড়তে হলে দরকার চোখ। কিন্তু এই মহামূল্যবান চোখ যদি না থাকে তাহলে কি তারা জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত থাকবে! চোখের আলো না থাকলেও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে তাদের পাশে এসেছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা।

এবারের একুশে বইমেলায় দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি জয় করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৫০/১৬ নম্বর স্টল নিয়েছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা।

স্টলে দায়িত্বে থাকা মো. শাহরিয়ার কবির তৌফিক বলেন, ‘স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিহীন বলতে রাজি নয়। আমরা তাদের দৃষ্টিজয়ী বলি। কারণ একমাত্র স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা তাদের পড়াশোনার জন্য বই প্রকাশ করে থাকে।’

স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী ও প্রতিষ্ঠাতা নাজিয়া জাবিনের একান্ত ইচ্ছা বাংলাদেশের সব প্রকাশনা যেন দৃষ্টিহীনদের জন্য তাদের মতো করে বই প্রকাশ করে। জানান শাহরিয়ার কবির তৌফিক।

স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা দৃষ্টিজয়ীদের জন্য নতুন কিছু বই এনেছে। স্পর্শ করে পড়া নতুন বইগুলোর মধ্যে আছে ও হ্যানরির ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’, তামান্না হাফিজের ‘আরশীর কাকতাড়ুয়া’, মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকার কথা’, নাজিয়া জাবীনের ‘বনভোজন’, আনোয়ার সৈয়দ হকের ‘আমার মা সবচেয়ে ভালো’,আনিসুজ্জামানের ‘কত কাল ধরে’,আশিক মুস্তফার ‘১৯৭১ বিচ্ছু বাহিনী’ ইত্যাদি।

শাহরিয়ার কবির তৌফিক আরও বরেণ. ‘আমাদের একান্ত ইচ্ছা দৃষ্টিজয়ীরা যেন বাংলাদেশের সব লেখকের বই তাদের ভাষাতে পড়তে পারে। এমন ভাষায় লেখা বই প্রকাশ হোক। আমরা এযাবৎ ৮১টি বই তাদের জন্য প্রকাশ করেছি।’ প্রতি বছরস্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা দৃষ্টিজয়ীদের জন্য বিনামূল্যে বই দিয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

মেলায় কেমন সাড়া পাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১০-১২ জন দৃষ্টিজয়ী আমাদের স্টলে পড়ার জন্য আসেন। এখানে দশম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পড়ুয়া দৃষ্টিজয়ীরা পড়তে আসেন।’

এ ছাড়াও ১৫০ টাকা মূল্যের ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ নামের মাসিক শিশুতোষ পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে স্পর্শ ব্রেইল। জানান শাহরিয়ার কবির তৌফিক।

(ঢাকটাইমস/১৫জুন/এসএস/মোআ)