খাদ্য গুদামের নির্মাণকাজে ধীরগতি, শষ্য সংরক্ষণ হচ্ছে ব্যাহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৪২

ফরিদপুরের মধুখালীতে এক হাজার ম্যাট্রিক টন খাদ্য শস্য ধারণ ক্ষমতার গুদামঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্টে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ২৮ মে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক বছর সাত মাস পার হলেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে খাদ্য শষ্য মজুদ ও সংরক্ষণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের অধীন উপজেলার গাড়াখোলা এলাকায় এ খাদ্য গুদামটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘দেড় লাখ মেট্রিক টন নতুন গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প’-এর অধীনে মধুখালীর এই খাদ্য গুদামটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা। এ গোডাউনটি নির্মাণ করছে মো. ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে কাজ শুরু হওয়ার পর ভবনের চারপাশের কলামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ছাদ ঢালাই দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এ গুদাম নির্মাণের কাজ:

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধুখালীতে পঁচশ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি খাদ্য গুদাম রয়েছে। কিন্তু ওই গুদামটি অপ্রতুল। এ কারণে এক হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ নতুন গুদামটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সময় মতো নতুন গুদামের নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় খাদ্য শষ্য সংরক্ষণের সংকট কাটছে না।

মধুখালী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হোসেন বলেন, খাদ্য গুদামের কাজে ধীরগতি আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো দিন কাজ হয় আবার কোনো দিন কাজ হয় না। কাজে দুই, তিন কিংবা চারজন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে নির্মাণ কাজ একেবারে বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, সময় মতো গুদামের কাজ শেষ না হওয়ায় জায়গা স্বল্পতার কারণে আমরা সঠিকভাবে খাদ্য শস্য সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছি না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের সত্ত্বাধিকারী ইউনুস আলী বলেন, ওই গুদামের নির্মাণকাজ কবে শেষ করা হবে- তা ওই প্রকল্পের কর্মকর্তারাই ভালো জানেন। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

দেড় লাখ মেট্রিক টন নতুন গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের উপ-পরিচালক মোসলেম উদ্দিনের কাছে ফোনে জানতে চাওয়া হয় মধুখালীর এক হাজার মেট্রিক টনের খাদ্য গুদামের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে। উত্তরে তিনি বলে, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। এ প্রকল্পের অধীনে কী জাতীয় কাজ হচ্ছে, তা আমি এখন পর্যন্ত জেনে উঠতে পারিনি।’

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :