বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদ

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫১

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাকসুমুল আরিফিন অভি, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমানসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষার্থী মাকসুমুল আরিফিন অভি বলেন, প্রায়ই বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে স্থানীয়দের হামলার শিকার হচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার আমাদেরই এক ছোট ভাইয়ের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করা হয়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয় বলে তাদের উপর পাল্টা হামলার দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু বারবার এসব অন্যায়-জুলুম চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা বরদাশত করবে না। আমরা এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতি দ্রুত এসব হামলার বিরুদ্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানাই।

হামলার শিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মারুফ জানান, আমি রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয় লিটনের দোকানে ৬০০০ টাকা ক্যাশ আউট করি। আমাকে সব নোট টাকা দেয়া হয়। এর ঘন্টাখানেক পর আমার ফোনে ফ্লেক্সিলোড দেয়ার উদ্দেশ্যে আবার লিটনের দোকানে  যাই এবং ফোনে ১০৯ টাকা লোড নেই। আমি তাকে ১০০০ টাকার নোট দেই। আমার ভাঙ্গি টাকার প্রয়োজন, তাই আমি বারবার তাকে ভাংতি টাকা দেয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি ভাংতি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শেষমেষ তাকে আমার পকেট হাতড়ে ১১০ টাকা খুচরা দেই। কিন্তু প্রথমেই কেন তাকে ভাংতি টাকা দেইনি, এ নিয়ে রাগারাগি করে, অশ্ল¬ীল ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমার গায়ে হাত তোলে। তখন আশপাশের কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে আসলে, তাদের সামনে আমাকে চোর অপবাদ দিয়ে লিটন ও স্থানীয় ৭-৮ জন লোক আমার উপর উপর্যুপরি আঘাত করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থীর উপর স্থানীয়দের হামলা ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহত শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অভিযোগপত্র পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)