‘মানবপাচারে’ এমপি

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সন্দেহ’, সেতুমন্ত্রী বললেন ‘তদন্ত করে ব্যবস্থা’

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫৭ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশের এক সাংসদের বিরুদ্ধে মানবপাচারে জড়িত থাকার যে খবর কুয়েতের সংবাদমাধ্যম দিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন একে ‘ফেইক নিউজ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, এই অভিযোগের  বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ  রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বাংলাদেশের এক সংসদ সদস্যকে নিয়ে কুয়েতে মানবপাচার সংক্রান্ত সেদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘ফেইক নিউজ’ বলে অভিহিত করেন।

সম্প্রতি কুয়েতের সিআইডির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির পত্রিকা আল কাবাস ও আরব টাইমস। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

কুয়েতি গণমাধ্যম ওই সাংসদের নাম উল্লেখ না করলেও দেশের একটি গণমাধ্যমের খবরে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নাম এসেছে। তিনি কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানি এবং দেশে আর্থিক খাতের ব্যবসায় যুক্ত।

স্বতন্ত্র এই সাংসদসহ তিনজনের চক্রটি অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে পাঠিয়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে বলে কুয়েতের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শুনেছি এটা ফেইক নিউজ। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। আমাদের মিশন ওখান থেকে কোনো খবর দেয়নি। আমরা এখনো জানি না।’

‘এটা বোধহয় কোনো একটা পত্রিকায় বের হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ওই পত্রিকাই বলেছে এর সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মানবপাচারে সাংসদের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তেরও অনুরোধ জানান।

আল কাবাসের খবরে বলা হয়, কুয়েতে মানবপাচার ও ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বাংলাদেশির একটি চক্রের সন্ধান পাওয়ার পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার সিআইডি। বাকি দুজন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন আবার সংসদ সদস্য।

অন্যদিকে বুধবার আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য নিয়মিত কুয়েতে আসা-যাওয়া করলেও সেখান ৪৮ ঘণ্টার বেশি থাকেন না। কুয়েতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।

আল কাবাস থেকে উদ্ধৃত করে আরব টাইমস পরে আরেক প্রতিবেদনে লিখেছে, কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানির ছাড়পত্র পেতে কর্মকর্তাদের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি ঘুষ হিসেবে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওই সাংসদ। তিনি তার সম্পদের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিয়ে এক মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এসএস/ডিএম)