কর্মমুখর দিনেও বইপ্রেমীর সরব উপস্থিতি

তানিয়া আক্তার, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:১০
ফাইল ছবি

ভালোবাসা-বসন্তের উন্মাদনা শেষে সাপ্তাহিক ছুটি শনিবারের পর আজ রবিবার ছিল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। এই দিনের বিকাল থেকে রাত অবধি বইপ্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে মুখর ছিল প্রাণের বইমেলা। বিকিকিনিও আশাব্যঞ্জক ছিা বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

শহিদুল ইসলাম বইমেলায় এসেছেন রাজশাহী থেকে। শুক্র-শনিবার অনেক ভিড় থাকে তাই কর্মমুখর এই দিনে এসেছেন মেলায়। আর তার হিসাব, মেলার মাঝামাঝি সময়টাতে সব ধরনের নতুন বই এসে পৌঁছায় স্টলে স্টলে। অনুপম প্রকাশনী থেকে তিনটি নতুন বই কিনেছেন তিনি।

শহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রতিবারই বইমেলায় আসি। সরকারি চাকরি করার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়। তবুও আসি। বিশেষ করে মেলার মাঝামাঝি সময়টাতেই আসার চেষ্টা করি। সন্তানদেরও বই এবং বইমেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।'

ইত্যাদি প্রকাশনীর প্রকাশক আদিত্য অন্তর ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এমন দিনে বেচাবিক্রির যে অনুমান করা হয়, তা চেয়ে ভালো বিক্রি হচ্ছে।'

আজ মেলা ঘুরে দেখা গেছে, শিশুপ্রহর ছাড়াও শিশুচত্বরে শিশু-কিশোরদের আনাগোনা বেশ লক্ষণীয় ছিল আজ। রূপকথার গল্পগুলো বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বেশির ভাগ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা।

এবারের মেলায় কাটতির দিকে এগিয়ে আছে গল্প-উপন্যাস। আর শিশুতোষ বইয়ের মধ্যে রূপকথার গল্প।

ঝিঙেফুল প্রকাশনীর প্রকাশক গিয়াস উদ্দিন খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, শিশুপ্রহর শেষ হওয়ার পরও আজকের কর্মমুখর দিনটাতে অনেক শিশু বিশেষ করে কিশোরদের উপস্থিতি দেখা গেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানরা যারা আসছে, তারাই শিশুচত্বর থেকে কিনছে পছেন্দের বই।

নতুন বই

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, আজ মেলার ১৫তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৪৬টি।

মূলমঞ্চ

বিকেল চারটায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় পিয়াস মজিদ রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলা একাডেমি’ বই নিয়ে আলোচনা।

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক শাহিদা খাতুন। আলোচনায় অংশ নেন কবি শিহাব সরকার এবং গবেষক ড. ইসরাইল খান।

অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন মাসুদুজ্জামান, মাহবুব আজীজ, জাহানারা পারভীন এবং আশরাফ জুয়েল। আবৃত্তি করেন শিরিন ইসলাম, আজিজুল বাসার এবং মনিরুল ইসলাম।

সাংস্কৃতিক পর্বে আরো অংশ নেয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্বভুবন’, নাচের দল জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমী এবং ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :