‘শ্বশুরবাড়ি আত্মহত্যা’: খুনের অভিযোগে পরিবারের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৪৩

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার অভিমানে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা প্রচার কারার প্রতিবাদে খুনের অভিযোগ এনে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার এবং গোপালপুর এলাকাবাসী।

রবিবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী লাবনী বেগমের পরকীয়ার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম আত্মহত্যা করেছে।

এমন প্রচারণার প্রতিবাদ করে বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ৮:৪৪ ঘটিকায় জাহাঙ্গীর তার মায়ের সাথে ৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড কথা বলেন। ফোনালাপের ভাষ্যে জাহাঙ্গীরের পরিবার অভিযোগ করেছে সেদিন জাহাঙ্গীরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছে সেটা অনুমান করেই ফোন করেছিল জাহাঙ্গীর। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

বক্তব্যে আরও বলেন, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আমিনুর (বাবু)’র সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই অবৈধ সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার জন্য এলাকাবাসী ৪/৫ বার শালিসি বৈঠক করেও সমাধান করতে পারেনি। সবশেষে আমিনুরকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে শালিসি বৈঠক। লাভলীকে ছেড়ে দূরে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। এরপরও সে এলাকা না ছেড়ে সম্পর্কে অটুট থাকে। প্রায়ই আমিনুর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনচার মাস আগে আমিনুরের সাথে লাভলী বেগম পালিয়ে বগুড়া গিয়ে এক দেড়মাস অবস্থান করছিল। এরপর গ্রামবাসী তাদেরকে বগুড়া থেকে গ্রামে ফিরিয়ে আনে। ৯ ফেব্রুয়ারি লাবলী বেগম মিথে অজুহাতে জরুরি খবর দিয়ে গোপালপুর থেকে ভূঞাপুরে নেয়। রাতে বুঝতে পারেন তাকে তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। এসময় পালাতে না পেরে মায়ের সাথে ফোনালাপ করেন।

পরিবারে অভিযোগ, তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জাহাঙ্গীরের ভাই আবু সাঈদ, নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল হালিম খান, মো. আব্দুল কদ্দুস খান, মনিরুজ্জামানসহ এলাকাবাসী। লাভলী বেগম রাজাপুর গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে।

প্রসঙ্গত, ১১ ফেব্রুয়ারি ভূঞাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জাহাঙ্গীরের শশুরবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত জাহাঙ্গীর গোপালপুর উপজেলার উড়িয়াবাড়ি গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।

জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ভূঞাপুর উপজেলার অজুর্না ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে লাভলীর বিয়ে হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :