কাজী আরেফ হত্যার ২১ বছর: দণ্ডপ্রাপ্তদের রায় কার্যকরের দাবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৪৫

আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৯ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন ‘সন্ত্রাসকবলিত রক্তাক্ত জনপদ’ খ্যাত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা বৃষ্টির মতো গুলি করে।

সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন- মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীন বাংলার পতাকা রূপকার নিউক্লিয়াস সদস্য সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ। এ সময় মঞ্চে থাকা আরো চার জাসদ নেতা নিহত হন।

নিহত অন্যরা হলেন- তৎকালীন জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা এ্যাড. ইয়াকুব আলী, স্থানীয় নেতা ইসরাইল হোসেন তফসের ও শমসের মণ্ডল।

কাজী আরেফ আহম্মেদ ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতিক নিবাস কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া গ্রামে।

১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত নৃশংস এই হত্যা দিবস স্মরণে ও হত্যা মামলায় আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও রায় কার্যকরের দাবিতে কাজী আরেফ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে রবিবার কুষ্টিয়া পৌরসভা বিজয় উল্লাস চত্বরে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে সরকারি আইনজীবী আ ক ম আকতারুজ্জামান মাসুম বলেন, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন দৌলতপুর থানার ওসি ইসাহক আলী বাদী হয়ে করা হত্যা মামলাটি করেন। নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তদন্ত শেষে জড়িত অভিযোগে ২৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন এবং বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় আদালতে।

২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট আদালত ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায় পরবর্তীতে নিম্ন ও উচ্চ আদালতে সব বিচারিক কাজ শেষ করে ২০০৮ সালে নয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে বাকিদের খালাস দেন উচ্চ আদালত।

এই নয়জনের মধ্যে জামিনে থেকে অদ্যবধি পাঁচজন পলাতক থাকলেও ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারিতে কারান্তরীণ তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় এবং এর আগে অসুস্থ হয়ে কারাগারেই ১ আসামির মৃত্যু হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- মান্নান মোল্লা, জালাল উদ্দিন ওরফে বাসার, বাকের, রওশন এবং জীবন।

নিহত জাসদ নেতা এয়াকুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী রুশো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে কাজী আরেফ তার জীবদ্দশায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যে লড়াই করে গেছেন, মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সেই আদর্শ ও চেতনা লালন করতে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েও এতটুকু বিচ্যুৎ হননি পরিবারের সদস্যরা। যে আদর্শিক চেতনায় তিনি একটা সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখার অপরাধে সন্ত্রাসীদের নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন; সেই হত্যার রায় কার্যকর করতে এখনও পলাতক পাঁচ আসামির গ্রেপ্তার দাবি করছি।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/কেএমআর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :