করোনা শনাক্তকরণ পদ্ধতি কি ত্রুটিপূর্ণ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
| আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০৭ | প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:০৬

করোনাভাইরাসের পরীক্ষার পর মানুষকে ভুলভাবে জানানো হচ্ছে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। এমন সন্দেহের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, লোকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার আগে অন্তত ছয়টি পরীক্ষার ফলাফলে আসে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।

এদিকে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে চূড়ান্ত ভাবে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়ার আগেই শুধু উপসর্গ থাকলেই তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরা হচ্ছে। যার কারণে এক দিনে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। যা এই প্রাদুর্ভাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের সমান।

পরীক্ষায় ভাইরাসের জেনেটিক কোড খোঁজা হয়। রোগীর কাছ থেকে একটি নমুনা নেয়া হয়। পরে পরীক্ষাগারে ভাইরাসের (যদি থাকে) জেনেটিক কোড বের করে তা বার বার কপি করা হয়, যাতে তা সনাক্ত করা যায়।

রেডিওলোজী জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে পাঁচ জনের পরীক্ষায় আসে যে, তাদের সংক্রমণ নেই। তবে ফুসফুসের স্ক্যান পরীক্ষায় পাওয়া যায় যে তারা আক্রান্ত। কিন্তু পরে করা পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায় যে, তারা আক্রান্ত। এ ধরণের আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে।

একই ধরণের ঘটনা সংক্রমণের শিকার অন্য দেশগুলো যেমন সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডেও পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ন্যান্সি মেসোনিয়া নামে এক চিকিৎসক বলেছেন, করোনাভাইরাসের অনেক পরীক্ষায় ‘অমীমাংসিত’ ফল আসছে।

এ সম্পর্কিত সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, পরীক্ষাগুলো যথার্থ কিন্তু পরীক্ষার সময় হয়তো রোগীদের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকে না। চীনে এখন কাশি, ঠাণ্ডা এবং ফ্লু এর মৌসুম। আর রোগীরা হয়তো এসব অসুখকেও করোনাভাইরাস বলে ভুল করছে।

চীনের ম্যাকযারমট নামে এক চিকিৎসক বলছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গগুলো শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করে অন্য ভাইরাসগুলোর মতোই। প্রথমবার পরীক্ষার সময় হয়তো তারা সংক্রমণের শিকার হয়নি। পরে হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং পরে পরীক্ষা করলে তা ধরা পড়ে। এটা একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।’

‘আরেকটি কারণ হতে পারে জানিয়ে ম্যাকযারমট বলেন, ‘রোগীর হয়তো করোনাভাইরাস আছে, কিন্তু এটা এতটাই প্রাথমিক পর্যায়ে এবং সংখ্যায় এতো কম থাকে যে সনাক্ত করার জন্য নমুনায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া যায় না। যদিও আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় জেনেটিক বস্তুগুলো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়, তবুও ন্যূনতম মাত্রায় থাকা জরুরী। তবে ছয় বার পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে এই যুক্তি টেকে না।’

অন্যদিকে, পরীক্ষা কিভাবে করা হচ্ছে তাতেও সমস্যা থাকতে পারে। নমুনা যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা করা না হয় তাহলে পরীক্ষা কোন কাজে আসবে না। এছাড়া যেসব চিকিৎসকরা পরীক্ষা করছেন তারা ভুল জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন কিনা তা নিয়েও আলোচনা রয়েছে।

এটা গলা এবং নাকের সংক্রমণের মতো নয় বরং এটা ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ। যদি রোগীর কাশি থাকে, তাহলে ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব। দেহে ছোট মুকুটের মতো অংশ থাকার কারণে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয় করোনাভাইরাস।

ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে হুমকি পেলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ

মস্কোতে কনসার্টে হামলা: এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ 

বাবা কোটিপতি, ২০ বছর ধরে জানতই না ছেলে!

গাজা যুদ্ধের ১৭৩তম দিন, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলা: ফের মৃত্যুদণ্ড চালুর আহ্বান রুশ আইনপ্রণেতাদের

দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, বেশিরভাগই সাগরে ডুবে: জাতিসংঘ

৩০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেবে ভারত

বিমান হামলায় হামাসের ২ সামরিক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের 

ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে মিলল কোটি কোটি টাকা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :