সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে নারীদের স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
| আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩১ | প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:২৮
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে নারীদের স্থায়ী নিয়োগের পক্ষে এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ফলে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। এছাড়া ২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য বিজেপি সরকারের সমালোচনাও করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে ঐতিহাসিক মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিচারকরা বলেন, ‘নারীদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে নেতৃত্বের কোনো যোগসূত্র নেই। প্রয়োজনে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনে জানানো হয়, সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মানসিকতা কোনও নারীর তৈরি হয়নি। কেন্দ্রের এই যুক্তিকে ‘বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর’ আখ্যা দিয়ে এই ধরণের ‘চিরাচরিত ভাবনা’ থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্বের জন্য স্থায়ী কমিশনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল কয়েকজন নারী কর্মকর্তা। তাদের দাবি ছিল, সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে নারীদের স্থায়ী নিয়োগ না করা অত্যন্ত পশ্চাৎমুখী পদক্ষেপ, এর ফলে তাদের মর্যাদার অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
আবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমানে সেনাবাহিনী মূলত পুরুষদের সংগঠন। সেনাদের যে মানসিকতা, তাতে তারা নারী অফিসারদের থেকে নির্দেশ গ্রহণের বিষয়ে এখনও সৈন্যরা মানসিকভাবে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। তাদের শুধু প্রশাসনিক ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোনও বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং ক্রাইটেরিয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট অর্থাৎ অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাজও তারা পাচ্ছেন না। নেতৃত্ব ক্ষমতা প্রমাণের কোনো সুযোগ নেই তাদের।
অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, অধিকাংশ সেনা গ্রাম থেকে বাহিনীতে আসে। ফলে তাদের পক্ষে কোনো নারী নেতৃত্ব মেনে নেওয়া কঠিন। নারীদের শারীরিক পরিস্থিতি, পারিবারিক দায়িত্বের মত বহু প্রতিবন্ধকতা আছে যা তাদের পক্ষে কমান্ডিং অফিসার হওয়ার অন্তরায়।
এর জবাবে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মানসিকতায় যদি পরিবর্তন আনা যায় ও ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করা হয় তো অনেক কিছুই সম্ভব।
তবে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেওয়া ইউনিটে নারীদের যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ দুর্গম এলাকায় যুদ্ধে যোগ দিতে গেলে সর্বোচ্চ স্তরের শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন হয়। প্রত্যক্ষ যুদ্ধে কোনও অফিসার এগিয়ে এসে দলের নেতৃত্ব দেন। যদি কোনও নারী যুদ্ধে শত্রু দেশের হাতে বন্দি হন, তখন তার পরিস্থিতি কি হবে।
নারী কর্মকর্তারা এ দাবি মানতেও নারাজ। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, কানাডাসহ বিশে^র ২২টি দেশের তালিকা দিয়েছেন। সেসব দেশে নারীরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
(ঢাকা টাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/আরআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

তীব্র গরমে বিশ্বব্যাপী বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

গাজা ইস্যুতে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো 

ফের দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

ইরানে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিজেরাই ধ্বংস করে ইসরায়েল!

মালদ্বীপে সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দল

পাকিস্তান সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি 

ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ 

২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করলো কলকাতা হাইকোর্ট

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান তুরস্কের

সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীর রকেট হামলা  

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :