খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে ভাতিজিকে ‘ধর্ষণ’

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৫

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

অসচ্ছল এক কৃষকের মেয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত এবং সহযোগিতার অভিযোগে ওই বাড়ির বাসিন্দা ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। সোমবার দুপুর ২টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীম শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই ছাত্রীর চাচা এবং সদর উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের অভিযুক্ত স্বাধীন, সহায়তাকারী নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী বেদেনা খাতুন।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়ি থেকে অন্যান্য দিনের মতো যথারীতি স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিচিত সম্পর্কে চাচা স্বাধীন ওই ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে শহরের পূর্ব থানাপাড়ার কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নুরুল ইসলামের বাড়িতে বিশেষ কাজ আছে বলে নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাড়ির একটি কক্ষে প্রবেশ করার পর দরজার বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়। পরে সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এক ঘণ্টা পর কক্ষের দরজা খুলে দিলে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনার বিবরণ দেয় পরিবারের কাছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, ওই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকালে শহরের একটি বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় মামলা করেন ওই ছাত্রী।  (ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)