ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি সংরক্ষণের চেষ্টা করব: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৫৩

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহীতে কালজয়ী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈত্রিক ভিটা পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এ সময় তিনি বলেছেন, ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতির ও সংস্কৃতি বিকাশের এই জায়গাটি ধরে রাখা উচিত ছিল। আমি যতটুকু দেখছি, যতটুকু জায়গা আছে, সেটুকু কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়, তার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব।

সোমবার বিকাল সাড়ে চারটায় রাজশাহী নগরীর মিয়াপাড়ায় চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈত্রিক ভিটা পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, এখানকার সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনেক ক্ষোভ। এই বাড়িতে একটি সাইকেল গ্যারেজ করছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই খবর পেয়ে আমরা রাজশাহী জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলাম। তবে সেটা বন্ধ তো আর হয়নি। ভাঙার কাজও শেষ। দেয়ালও প্লাস্টার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ঋত্বিক ঘটকের এই বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এটির আদলটি অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। এদেশের সামরিক শাসকরা সংস্কৃতির অঙ্গনগুলোকে সবসময়ই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিভিন্ন কালা-কানুন দিয়ে তারা সংস্কৃতির বিকাশকে রুদ্ধ করেছে। সেটিরই একটি লক্ষণ হলো ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি ১৯৮৪ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিটুকু নষ্ট না করে আপনারা আপনাদের কলেজ কার্যক্রম করতে থাকেন। তারপরে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আইন যেভাবে চলে, সেভাবেই আপনাদের চলতে হবে।

কিছুদিন আগে প্রতিমন্ত্রীর ভাই অভিনেতা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক ম হামিদ ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি পরিদর্শনে এসে ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুমতি না পাওয়াটা দুঃখজনক। ঋত্বিক ঘটক একজন ব্যক্তি না একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন। তার পৈত্রিক নিবাসের এই জায়গায় একজন সাংস্কৃতিককর্মী অনুমতি না পেয়ে ফিরে যাওয়াটা দুঃখজনক। ঋত্বিক ঘটকরা তো আর যুগে যুগে জন্মায় না, শত বছরে একজন পাওয়া যায়। সেই তার জন্মভিটায় একজন সাংস্কৃতিক কর্মী না আসতে পারাটা অবশ্যই বেদনার সৃষ্টি করে।

এ সময় ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন, রাজশাহী জেলা সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার, হোমিওপ্যাথিক কলেজ অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)