‘আইজ অফ ডার্কনেস’ উপন্যাসে উহান-৪০০ নামে ভাইরাস

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৪২

ফিচার প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

থ্রিলার উপন্যাসটির নাম ‘আইজ অফ ডার্কনেস’৷ ১৯৮১ সালে ডিন কুনত্‍জ সেই উপন্যাসে ৩৯ অধ্যায়ে Wuhan-400 নামে একটি ভাইরাসের কথা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন যে ল্যাবটি উহানের মধ্যে অবস্থিত যা নাকি চিনে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের গবেষণাগারে প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ বায়োলজিক্যাল যুদ্ধ হল, মারণ ভাইরাস প্রয়োগ করে একটি দেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া৷ কোনোরকম আগ্নেয়াস্ত্র বা পরমাণু বোমা ছাড়াই৷

চিনে মহামারির আকার নিয়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)৷ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬৮ জন। চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি বাজার থেকেই প্রথম ছড়ায় এই ভাইরাস৷ এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭টি শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস৷

এখন প্রশ্ন হল, ভাইরাসটি কি চীন বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিল? প্রশ্নটা ওঠার মূলে ৪০ বছর আগের একটি উপন্যাস৷ সেই উপন্যাসটিতে একটি ভাইরাসের নাম রয়েছে, Wuhan-400৷

এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হংকংভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। তাতে বলা হচ্ছে, ‘উপন্যাস আই অব ডার্কনেসে ক্রিশ্চিয়া ইভানস নামের একজন শোকাহত মা তার সন্তান ড্যানির খোঁজ করছিলেন। ছেলে মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে তা জানতেন না তিনি। অবশেষে তিনি একটি বিষয় জানতে পেরে হতবাক হন।‘

মা হঠাৎ জানতে পারেন ছেলে দুর্ঘটনাবশত মানুষের তৈরি বিষাক্ত অণুজীবে আক্রান্ত হয়ে উহানের একটি সামরিক গবেষণাগারে আটকা রয়েছেন। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি নামের ওই গবেষণাগার চীনের প্রথম সারির চারটি গবেষণাগারের একটি। সর্বোচ্চ স্তরের শ্রেণিবিন্যাসকৃত প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে সেখানে গবেষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের খানিকটা শুরু হয়েছিল বহু আগেই৷ বায়োলজিক্যাল অস্ত্র তৈরির ইতিহাস বিশ্বে বেশ পুরনো৷ অ্যানথ্রাক্স, ব্রুসেলোসিস, কলেরা, নিউমনিক প্লেগ, টুলারেমিয়া, স্মলক্স, গ্ল্যান্ডার্সের মতো মারণ ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া একাধিক বার ব্যবহৃত হয়েছে যুদ্ধে৷

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/আরজেড)