অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়ার শ্রীপুরে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আশুতোষ সাধু।

সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

আশুতোষ সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত বিষন্নপদ সাধুর ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা শিক্ষক আশুতোষ সাধুর বাড়িতে যায়। পরে পরিবারের অজান্তে তাদের খাদ্যের পাত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। রবিবার রাত ৯টার দিকে আশুতোষ সাধু ও তার স্ত্রী ঝর্না সাধু এবং তার মেয়ে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

রাত ১১টার দিকে চার-পাঁচজন অজ্ঞানপার্টির সদস্য আশুতোষ সাধুর ঘরে ঢোকে। পরে ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করার সময় আশুতোষ সাধুর স্ত্রী ঝর্না অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের দেখতে পান। বাধা দিলে আশুতোষের স্ত্রী ঝর্নার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায় ঝর্না ও তার মেয়ে ডাক চিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে যায়। তখন অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা আশুতোষের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে ঘুমিয়ে থাকা আশুতোষ সাধুকে ডাকতে গিয়ে তার স্ত্রী ঝর্ণা দেখেন আশুতোস সাধুর মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আশুতোষ সাধুর স্ত্রী ও তার মেয়ে। রবিবার ওই রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। কিন্তু আশুতোস সাধুর স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি না হলে সোমবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই দিন রাত ২টার দিকে আশুতোষ সাধু মারা যান। বর্তমানে তার স্ত্রী ও মেয়ে সুস্থ রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে কারোর বিরুদ্ধে ওই পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তারা কোনো মামলাও করতে চান না বলে জানান তিনি। 

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/কেএম/ইএস)