আইন পাসের দাবিতে আইনজীবী সহকারীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নিজেদেরকে ল-ক্লার্ক হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃতির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশের আইনজীবী সহকারী সমিতির প্রায় ১৫ হাজার সদস্য বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে তারা আইনজীবী সহকারী (ল-ক্লার্ক) কাউন্সিল নামের আইন পাসের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমের পরিচালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. নুর মিয়া। বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীব সহকারী সমিতির সভাপতি এবিএম গোলাম রহমান মোন্নান, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে হাজির হন ঢাকা কোর্ট, ঢাকা মেট্রো, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা শাখার আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্যরা। বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, মৎস ভবন, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর ও শিক্ষাভবন এলাকায় আইনজীবী সহকারীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে তারা প্রায় দুই ঘণ্টা শাহবাগে অবস্থান করে সমাবেশ করেন।  

এতে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য হিসেবে আমরা আইনি স্বীকৃতি চাই। আমরা সরকারের কাছে কোনো টাকা-পয়সা চাই না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আইনজীবী সহকারী (ল-ক্লার্ক) কাউন্সিল আইন পাসের মাধ্যমে আমাদের পেশাকে আইনি স্বীকৃতি দেয়া হোক। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আইনজীবী সহকারীদের জন্য আলাদা আইন রয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. নুর মিয়া বলেন, সহকারীরা আইনজীবীদের সহায়তা করে থাকেন। আমরা গত ৩৪ বছর ধরে আদালত প্রাঙ্গণে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি। এখন আমাদের জন্য অবশ্যই একটা আইন দরকার। যার মাধ্যমে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া বিধি-নিষেধ কমে আসবে। এ সরকার মুজিববর্ষে আইনজীবী সহকারী সমিতির দাবি মেনে নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নুর মিয়া আরও বলেন, স্বাধীনতার অঙ্গীকার মোতাবেক প্রত্যেকটি পেশাজীবীর  নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বতন্ত্র আইন প্রণীত হলেও আইনজীবী সহকারী সম্প্রদায়ের পেশাগত দায়িত্ব নির্ণয় করে এখন পর্যন্ত কোনো আইন পাস করা হয়নি। আইন প্রণয়ন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল লিখিত মতামত প্রদান করা সত্ত্বেও আইন পাস না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আইন পাস করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের বিষয়ে আইন পাস করে সংসদে উপস্থাপন না করলে আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ মানববন্ধন, সমাবেশ, আমরণ অনশনের ডাক দেব। প্রয়োজনে কঠিনতর আন্দোলনের ডাক দেব। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো আগামী ১১ মার্চ।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এআইএম/জেবি)