সংসদেও আলোচনায় ‘কচুরিপানা’

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:১১ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের বরাতে কচুরিপানা নিয়ে একটি বক্তব্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ‘কচুরিপানা গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারবো না কেন’ মন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদেও। যদিও এই বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কচুরিপানা খাওয়ার কথা বলেননি, গবেষণা করার কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার ছিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সমাপনী দিন। এদিন বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ তার সমাপনী বক্তব্যে কচুরিপানা প্রসঙ্গে কথা বলেন।

রওশন বলেন, ‘আজ পেপারের দেখলাম আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, গরু যদি কচুরিপানা খেতে পারে তাহলে মানুষ কেনো খেতে পারবে না। আমাদের দেশে কী এখন দুর্ভিক্ষ দেখা দিছে যে কচুরিপানা খেতে হবে। আজ তো পরিকল্পনামন্ত্রী আসেননি। আমরা তো কিছু কচুরিপানা নিয়ে আসছিলাম। ওনাকে দিতাম।’

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘গরুর খাবার কী মানুষ খেতে পারবে নাকি মানুষের খাবার গরু খেতে পারবে। ঘাসের মধ্যে তো অনেক ভিটামিন আছে তাহলে আমরা ঘাস খাই না কেন?’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদও এ প্রসঙ্গ তুলে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন। আর এর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দিন বদলাচ্ছে। হয়তো এমন একদিন আসবে দেখা যাবে কচুরিপানা থেকে এমন একধরনের খাবার তৈরি হবে যেটার ফুড ভ্যালু অনেক হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দিন বদলাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা আসছে। ৪৫/৫০ বছর আগে ঢাকায় কচুর লতি খেতো না। এখন সেটি প্রয়োজনীয় এবং সুস্বাদু খাবার হিসেবে চালু আছে। আরেকটা ঘটনা বলতে চাই, আমরা চা খাই চায়ের পাতা দিয়ে। কিন্তু নতুন যে কনসেপ্ট আসছে বাজারে সেটি হলো পাটের পাতা থেকে চায়ের পাতার মতো করে তৈরি হচ্ছে ড্রিংকস। সেটা অনেক সুস্বাদুও। আগে, হইলো বলা হতো, এ আবার কেমন কথা! মাশরুম দেখলে অনেক সময় বলতো এটা হারাম খাবার। ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন একদিন আসবে দেখা যাবে কচুরিপানা থেকে এমন একধরনের খাবার তৈরি হবে যেটার ফুড ভ্যালু অনেক হবে। সে জিনিসের অপেক্ষা আমরা করে থাকতে পারি।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/জেবি)