নাসায় যাচ্ছে বাদাম বেচে সংসার চালানো জয়লক্ষ্মী

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৩০ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ছোট মেয়েটার ঘাড়ে সংসারের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে আলাদা হয়েছেন বাবা। মানসিক রোগী মা আর ভাইয়ের দেখভালের ভার সামলাতে হয় তাকে। তার উপর যত্ন করে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নিজের পড়াশোনাটাও। ভারতের তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ে একটি সরকারি স্কুলের ছাত্রী জে জয়ালক্ষ্মী। একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। নিজের চেষ্টায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় যাচ্ছে সে।

বিজ্ঞানের ওপর বরাবরই তার আগ্রহ রয়েছে। মেধাবী এই ছাত্রী এবার নিজের চেষ্টাতেই নাসায় গিয়ে মহাকাশচারীদের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের মে মাসে নাসায় যাবে সে। কীভাবে এল এই সুযোগ?

অসুস্থ মা আর ভাইয়ের যাবতীয় খরচ তাকেই টানতে হয়। পড়াশোনার ফাঁকে বাদাম বিক্রি করে সে। গৃহত্যাগী বাবা কখনও কখনও মন হলে টাকা পাঠান। বাকিটা তাকেই উপার্জন করতে হয়।  বাদাম বেচার পাশাপাশি সে টিউশনও করে। একদিন হঠাৎই কাগজের একটা খবরে চোখ আটকে যায় তার। গো ফর গুরু নামে একটি সংস্থা নাসা যাওয়ার জন্য সব পড়ুয়াদের সুযোগ দিতে একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।

খবরটা দেখেই আর বসে থাকতে পারেনি সে। সব কাজ ফেলে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য ফর্ম ফিলআপ করে। নিজের মতো করে বাড়িতেই প্রস্তুতি নেয়। আর সেই পরীক্ষায় সফলও হয়ে যায়।

তাতেও অবশ্য সমস্যার সমাধান হয়নি। সমস্যা এবার অন্য জায়গায়। নাসায় ঢোকার টিকিট তো পেয়ে গিয়েছে, কিন্তু যাতায়াত খরচ! সেও তো অনেক টাকা। কয়েকজন শিক্ষক আর তার সহপাঠীরা মিলে পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে তার। পাসপোর্ট অফিসারও তাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়। জেলা প্রশাসকের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে সে।

ঢাকা টাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/একে