সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫৬

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন মিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার এ সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সাক্ষীরা হলেন, দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হস্তলিপি বিশারদ আবদুর রহিম ও আহসানুল করিম। এ পর্যন্ত এ মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর জেলার দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম পরদিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এই মামলায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা নাসির উদ্দিন, আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলী এবং চাচাতো ভাই সাহারুল ইসলাম ওরফে শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে নাসির ও সাহারুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পরে গত ৩০ ডিসেম্বর এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর হয় ৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন। সাহারুল শিশু হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে। এই আদালতেও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

গত ১৩ জানুয়ারি এ মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন তুহিনের মা মনিরা বেগমসহ পাঁচজন। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকিদের সাক্ষ্য নেয় আদালত।

তুহিনের মা মনিরা বেগম জানান, ১৩ অক্টোবর রাতে তুহিন তার বাবা আবদুল বাছিরের সঙ্গে একই খাটে ঘুমিয়ে ছিল। তিনি ছিলেন পাশের কক্ষে। গভীর রাতে তুহিনের চাচাতো বোন তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, ঘরের দরজা খোলা। তখন তিনি দেখেন তুহিনের বাবার পাশে তুহিন নেই। পরে সকালে জানতে পারেন তুহিনকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। কে বা কারা হত্যা করেছে তিনি জানেন না।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। মামলার সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।’

দ্রুত এ মামলার রায় ঘোষণা হবে এবং আসামিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী জানান, ‘মামলার সাক্ষ্য নেয়া শেষ। শিশু আদালতে রবিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর রায় ঘোষণা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/পিএল/এলএ)