অ্যাসাঞ্জের ওপর ‘নির্যাতন’ বন্ধে ১১৭ চিকিৎসকের চিঠি

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অস্ট্রেলীয় নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে কারাবন্দী অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক ‘নির্যাতন’ বন্ধে শতাধিক চিকিৎসক এক চিঠিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এ ওই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮টি অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টিই গুপ্তচরবৃত্তি আইনে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আইনে অ্যাসাঞ্জের ১৭৫ বছরের সাজা হতে পারে। 

২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জের উইকিলিকস লাখ লাখ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে। টানা সাত বছর অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে লুকিয়ে ছিলেন। গত বছরের এপ্রিলে লন্ডন পুলিশ আকস্মিকভাবে দূতাবাস থেকে অ্যসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অনুরোধের কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানায় লন্ডন পুলিশ।

নথি ফাঁস হওয়ার পরে শুরুতে সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু পরে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
 
কিন্তু আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন হামলার গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের দেশে নিয়ে অ্যাসাঞ্জের বিচার করতে চায়। অ্যাসাঞ্জের প্রত্যাবাসন বিষয়ে আগামী সোমবার যুক্তরাজ্যের উলউইচ ক্রাউন কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

বর্তমানে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে অ্যাসাঞ্জকে আটক রাখা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত সোমবার বিশ্বের ১৮টি দেশের ১১৭ জন চিকিৎসক ও মনোবিদ ল্যানসেট-এক খোলা চিঠিতে অভিযোগ করেন যে কারাগারে অ্যাসাঞ্জকে নির্যাতন করা হচ্ছে। 

‘....আমরা অ্যাসাঞ্জের ওপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তার নিন্দা জানাই। যথাযথ স্বাস্থ্যসুবিধা পাওয়ার মৌলিক অধিকারের বিষয়টি অগ্রাহ্য করারও আমরা নিন্দা জানাই।’   

চিঠিতে চিকিৎসকেরা বলেছেন, ‘আমাদের আবেদন খুব সহজ, অ্যাসাঞ্জের ওপর নির্যাতন বন্ধে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বেশি দেরি হওয়ার আগেই তাঁর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসুবিধা পাওয়ার নিশ্চয়তা চাইছি।’

নির্যাতনবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যা পোর্টার নিলস মেলজার এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করে বলেছেন, অ্যাসাঞ্জ মানসিক নির্যাতনের শিকার। ইতিমধ্যে তা প্রকাশিতও হয়েছে।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার দুই সংসদ সদস্য জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিতের জন্য ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রত্যাবাসন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সব নাগরিক চিন্তিত। আমরা মনে করি, অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে যথেষ্ট হয়েছে। তাকে বাড়ি ফিরে যাবার অনুমতি দেওয়া হোক।’

(ঢাকা টাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/আরআর)