‘গ্রেড বদলালেই শিক্ষার মান বাড়বে না’
পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতির বদল আনলেই শিক্ষার মান বাড়বে বলে মনে করেন না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। তার মতে, জিপিএ-৫ থেকে জিপিএ-৪ এ আনলেই হবে না। লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি করতে আরও কয়েকটি দিকে নজর দিতে হবে।
পাবলিক পরীক্ষায় থাকছে না জিপিএ-৫। অর্থাৎ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় আর জিপিএ ৫ পাওয়ার সুযোগ থাকছে না। আগামী জেএসসি পরীক্ষা থেকেই কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে মুঠোফোন এক সাক্ষাৎকারে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা পরিবর্তন করতে গিয়ে তাড়াহুড়া না করে সার্বিক দিকে নজর দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে কোথাও কোনো ত্রুটি না থাকে।’
বর্তমানে দেশে পাবলিক পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সব ধরনের ফলই প্রকাশ করা হয় সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে। ফলে এসএসসি আর এইচএসসির ফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারাই মহাসমস্যায় পড়েন। আর বিদেশে পড়ালেখা ও চাকরির ক্ষেত্রে পড়তে হয় আরও বড় সমস্যায়। কারণ প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ফলাফলের সমতা থাকছে না।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘সরকার সিজিপিএ-৪ করার পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক বিশ্বের ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এটা কাজে আসবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মূল বিষয় যেটা- সেই পড়াশোনার মান বাড়াতে হবে। সেইদিকে নজর দিতে হবে। ক্লাস রুমে মনোযোগ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও নোট বই পড়ানো বন্ধ করা, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা, প্রশ্ন ফাঁস পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। সেখানে গ্রেড পরিবর্তন করায় খুব বেশি যায় আসে না।’
পড়ালেখার মান বাড়াতে কি কি করণীয় রয়েছে প্রশ্নে গণসাক্ষরতা অভিযানের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বেশি কিছু দরকার নেই। ২০১০ এর যে শিক্ষানীতি, তাতেই সব বলা আছে। সেটা বাস্তবায়ন করতে পারলেই হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/ডিএম)