নিখোঁজ কৃষকের কঙ্কাল উদ্ধার: হত্যার পরিকল্পনাকারী সন্তান

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:২৩

আজমিরীগঞ্জে হাজী উমর আলী নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পর হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাই ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হলেও হত্যার মূল নায়ক নিহতের ছেলে কাওছার মিয়া এখনও পলাতক। গ্রেপ্তাররা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ঘটনা নিয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ (পিপিএম-বিপিএম) গত বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আসামিদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।

জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের হাজী উমর আলী (৬৫) গত ৩১ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র কাওছার মিয়া আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিছুদিন পর কাওছার বাড়িতে এসে তার বাবার গরু-ছাগল ও বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে দেন। এতে উমর আলীর ছোট ভাই নায়েব আলীর সন্দেহ হয়। অবশেষে নায়েব আলী আজমিরীগঞ্জ আদালতে কাওছার ও তার মা’সহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটি থানায় এলে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহ কাজ শুরু করেন এবং তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে নিশ্চিত হন এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

গত সোমবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার দক্ষিণ নয়া গ্রামের মৃত এমদাদ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (৩০) ও তার শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে (৫৫) বিয়ানিবাজারের কালাইউড়া গ্রাম থেকে আটক করলে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করে। এরপর গত বুধবার আজমিরীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার বিষয়ে জবানবন্দি দেয়। এতে তারা উল্লেখ করে কাওছারের সঙ্গে মনিরের বন্ধুত্ব সম্পর্ক। পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করতে রাজি হন। সেই অনুযায়ী কাওছার তার বাবাকে সিলেটে নিয়ে আসে এবং পূর্বপরিকল্পনা মতো ২ জানুয়ারি ছেলে কাওছারসহ অন্যরা উমর আলীকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর নিহতের মাথা সিলেটের সোনাই নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং বাকি অংশ একটি ঝুপে ফেলে রাখে।

বিয়ানিবাজার থানার পুলিশ ২১ জানুয়ারি উমর আলীর কঙ্কাল উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠায় এবং ময়নাতদন্ত শেষে কঙ্কাল আঞ্জুমান মফিদুল দাফন করে। এরপর থেকে তারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকে।

পুলিশ সুপার জানান, কাওছারের বাবা দুই বিয়ে করেছেন। কিন্তু তাদের লালন-পালন না করে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে সে থাকত। এ কারণে ক্ষোভে কাওছার তার বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

এদিকে কাওছারকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে কাওছারকে ধরলে হত্যার আরো রহস্য উদঘাটন হবে।

তিনি আরো জানান, কাওছারসহ অন্যান্য আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

মধ্যরাতে ফের মিয়ানমারের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে ভুয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ 

ঝিনাইদহে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

যারা ট্রেনে আগুন দেয় তারাই ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়ায়: রেলমন্ত্রী

আলফাডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটে পিকআপ-লেগুনা সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :