একুশের সকালে নিরুত্তাপ বইমেলা!

তানিয়া আক্তার, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:২৯ | প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:২৯

একুশের সকালে নিরুত্তাপ রয়েছে বইমেলা। এত নীরব বইমেলা আগে কখনই দেখেনি অনেকেই। এর কারণ খুঁজছে বিক্রয়কর্মী থেকে শুরু করে সবাই।

শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের মতো জমজমাট হয়ে ওঠেনি এবারের বইমেলা। সকালে প্রভাত ফেরীর পর বেশ কয়েকজনকে মেলায় আসতে দেখা গেলেও পরে আর সেই ধারা থাকেনি। সকাল দশটা পর্যন্ত দেখা মেলেনি কাঙ্খিত বইপ্রেমীর। কেউ হতাশা প্রকাশ করছেন আবার বিকেলে জমবে এই আশায় বুক বাঁধছেন কেউ কেউ।

অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জয়নাল আবেদীন জানালেন, তিনি গত ১৫ বছরেও এমন দৃশ্য দেখেননি বইমেলার।

জয়নাল আবেদীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'ঠিক কি কারণে এমন হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। গত ১৫ বছর ধরে কাজ করতেছি বই মেলায়। গতবছর দশটার মধ্যেই লাখ খানেক বিক্রি হয়ে গেছে। এবার মানুষের দেখা নাই।'

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী দুই প্রাঙ্গণেই স্টলে স্টলে একই হতাশার সুর।

অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী অমৃত ঢাকাটাইমসকে বলেন, গতবছর গেট থেকে ভিড়ের জন্য স্টলে আসতেই অনেক সময় লেগেছে। অথচ এবার এত নীরব !খুব অবাক লাগছে।'

একুশের সকালে বইমেলা এত নিরুত্তাপ কেন তার উত্তর জানা নেই মিজান পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী রমজানের কাছেও।

রমজান ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'গত রাত থেকেই আজকের সকালের জন্য প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু দশটা বাজতে শুরু করলো মানুষের খোঁজ নাই।'

শাহরিন আলম সাতসকালেই বইমেলা এসেছিলেন। কাল রঙের শাড়ি আর মাথায় ফুল গুঁজে বই কিনতে এসেছেন। কিন্তু দুই প্রাঙ্গণ ঘুরে উৎসবের এতটুকু ছোঁয়া পাননি তিনি। তাই কয়েকটা বই কিনে চলে যাচ্ছেন মেলা থেকে।

শাহরিন আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'গত পাঁচ বছর ধরে প্রতি বারই বইমেলায় আসি। একুশে ফেব্রুয়ারি দিন তো অবশ্যই এসেছি টানা পাঁচ বছর ধরে। শুধু উৎসব উপভোগ করার জন্য। যদিও অপরিচিত সবাই তবুও দলে দলে বই কিনার মজাই আলাদা থাকে। কিন্তু এবার খুবই অবাক হচ্ছি মানুষগুলো গেল কই!'

ছুটির দিন এবং একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসের মিশেলে বিক্রি-বাট্টা আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু পুরো সকাল এমন নিরব কেটে যাবে ভাবতেও পারেননি তারা। ফলে হতাশ হয়েছেন বিক্রেতারা

তবে কেউ কেউ আশায় বুক বাঁধছেন দুপুরের পর বইপ্রেমীর অপেক্ষায়।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/টিএটি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :