মুসলিমদের ১৯৪৭ সালেই পাকিস্তানে পাঠানো উচিত ছিলো: ভারতীয় মন্ত্রী

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৪৬ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ধারাবাহিকভাবে বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য গিরিরাজ সিং। মাত্র চারদিন আগে নিজের এক বক্তব্যের জন্য বিজেপি প্রধানের সতর্কতা পাওয়ার পর গত বুধবার আবারও মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে বিহারের পুর্নিয়ায় এক অনুষ্ঠানে গিরিরাজ বলেছেন, ১৯৪৭ সালেই সব মুসলমানকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিলো। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।

ভারতের পশু সম্পদ, গবাদি ও মৎস বিষয়ক মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে গত বছরের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করে ভারতের বিজেপি সরকার। সমালোচকেরা বলছেন, এতে সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রথম বারের মতো নাগরিকত্ব নির্ধারণে ধর্মকে শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। তবে বিজেপি সরকার বলছে, প্রতিবেশি দেশগুলোতে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত মানুষের সুরক্ষা দিতে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার ভারতের পশু সম্পদ, গবাদি ও মৎস বিষয়ক মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, ‘এখন জাতির কাছে আমাদের প্রতিজ্ঞা করার সময়। ১৯৪৭ সালের আগে (মুহাম্মদ আলী) জিন্নাহ একটা ইসলামিক দেশের জন্য চাপ দিয়েছেন। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বড় ভুল করে গেছেন আর আমরা তার মূল্য দিচ্ছি। সেই সময়ে যদি মুসলমান ভাইদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো আর হিন্দুদের নিয়ে আসা হতো, তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। ভারতবাসী যদি এখানে আশ্রয় না পায় তাহলে তারা যাবে কোথায়?’

বিজেপি সরকারের পরিচিত মুখ গিরিরাজ সিং আগেও বহুবার প্রকাশ্যে মুসলমানদের নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের দেওবন্দের ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘সন্ত্রাসবাদের আখড়া’ আখ্যা দেন গিরিরাজ। ওই মন্তব্যের জন্য মাত্র চার দিন আগে তাকে তলব করে নিয়ে সতর্ক করেন বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিএএ প্রণয়নের পর ভারতের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদেরা ৬৫ বার ঘৃণাবাদী বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যে ৬১ জনই ক্ষমতাসীন বিজেপির সদস্য। এদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও রয়েছেন।

(ঢাকা টাইমস/২১ ফেব্রুয়ারি/ আরআর)