অসহায় বৃদ্ধার পাশে সুনামগঞ্জের ডিসি
বয়সের ভারে ন্যুব্জ। উপার্জন করার ক্ষমতা হারিয়েছেন আরো আগেই। স্বামী খলিল মিয়া মারা গেছেন বহু আগেই। অসহায় বৃদ্ধা ময়েশা বিবি বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন।
সুনামগঞ্জের শাল্লার প্রত্যন্ত গ্রাম চব্বিশায় অসহায় এক ছেলে সন্তান নিয়ে তার বসবাস। পরিবারের উপার্জনোক্ষম সেই সদস্যও দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানায়। ওই অসহায় নারী জেলা প্রশাসককে জানান,কিছুদিন আগে তার একমাত্র ছেলে আহত হয়ে হাঁটাচলা করতে পারছে না, নিজেরও কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই তার। বসবাসের জন্য যে ঘরটি রয়েছে, তাতে ছাউনি নষ্ট হয়ে গেছে। রোদ-বৃষ্টিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিতান্তই কষ্টে দিন যাপন করছেন তিনি। বর্তমানে শীতের মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না। রোদ-বৃষ্টি ও তীব্র শীত থেকে রক্ষার জন্য বসতঘরটি মেরামতের আবেদন জানান।
অসহায় মহিলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক তার সাথে কথা বলে বুঝতে পারেন মহিলা অভুক্ত। তিনি তাৎক্ষণিক তাকে শুকনো খাবার খাইয়ে দেন। জরাজীর্ণ ঘরটি মেরামতের জন্য নিজের পকেট থেকে প্রদান করেন কিছু আর্থিক সহায়তা। ব্যক্তিগত ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে প্রদান করেন শীতবস্ত্র। বসতঘরটি সংস্কারের জন্য ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের এমন ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ওই অসহায় নারী প্রাণ ভরে দোয়া করেন।
(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এলএ)