চসিক নির্বাচনে কমিশনারে মাসুম মনোনয়ন না পাওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ

এম হাশেম তালুকদার, চট্টগ্রাম
 | প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:১২

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৪ নং ওয়ার্ডে কমিশনার পদে দিদারুল আলম মাসুম মনোনয়ন না পাওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা মনে করেন- মাসুমকে মনোনয়ন না দেয়ায় তৃণমূলের মতামতকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ত্যাগী নেতা মাসুম ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিক আহমদ জানান, ১৪নং লালখান বাজার তৃণমূল আওয়ামী লীগ কমিটি থেকে আমরা দিয়েছিলাম দিদারুল মাসুমকে। এর বাইরেও আরো ৩/৪ জন আবেদন করেন। আমরা চেয়েছিলাম, দিদারুল আলম মাসুমকে। তিনি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বেও ছিলেন,তৃণমূল পর্যায়ে যারা কাজ করেছেন,সেখানে বেলালের নাম নেই। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ করতেন মহানগরের। ১৪ নং লালখান বাজার তৃণমূল থেকে আমরা দিদরুল আলম মাসুমকে দলীয়ভাবে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। আমরা তৃণশূলের সবার সাথে কথা বলে মাসুমকে পাঠিয়েছি, তাকে কেন দিল না আমরা কেউ জানি না। হয়তো কোন ষড়যন্ত্র আমাদের তৃণমূলের প্রার্থী মাসুমকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও বর্তমান আহ্বয়ক জিয়া উদ্দিন বলেন, বেলাল কিভাবে আওয়ামী লীগ থেকে কাউন্সিলর পদটা পেয়েছে- তো আমার নলেজে নেই। যেহেতু স্বেচ্চাসেবক লীগের অনুমোদিত ২১ সদস্য কমিটিতে তার নাম নেই। খুলশী থানা আওয়ামী স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সস্পাদক মুমিনুল হক মুমিন বলেন, দীর্ঘদিন তো আমাদের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, বিভিন্ন কারণে বিভক্তি হয়ে দুটো গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে, সে হিসেবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অধিকাংশ লোকের সম্মতিতে দিদারুল আলম মাসুমকে চেয়েছিলাম।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সালা উদ্দিন বলেন, আমি রাজনীতি করি ৩৬ বছর ধরে। স্বেচ্চাসেবক লীগ কখনো গ্রুপিং-এর মধ্যে ছিল না। আবার অনেকে অনেক গ্রুপিং ব্লকের রাজনীতি করেছেন, কিন্ত আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন গ্রুপিং রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি কখনো বিভাজনে যাইনি। হয়ত আমি এতটুকু করতে পারব আমার স্বেচ্চাসেবক লীগের কমিটি লিষ্টটা আপনার নিকট পাঠিয়ে দিচ্ছি, সে কমিটি দেখে আপনি আপনার মন্তব্যটা দিতে পারবেন।

খুলিশী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম বলেন, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। আমার অসুস্থতায় আমি পদত্যাগ করেছি। পরে দিদারুল আলম মাসুম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন। বর্তমানে আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে আছি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দিদারুল আলম মাসুমকে প্রার্থী হিসেবে ঢাকায় পাঠিয়েছি, সেখানে মাসুমকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।

তিনি জানান, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের কোন বিকল্প নেই।

আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, ২০০৯ আমি বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী হামলা-মামলার শিকার হই। এ হামলায় তৎকালীন সভাপতি বাহাউদ্দিন নাসিমসহ অনেকে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য সহযোগিতা করেন।

যেহেতু আমি একজন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী, স্বাভাবিক আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হবেই।

দিদারুল আলম মাসুম বলেন, আমি আমার জীবনের অনেক মূল্যবান সময় জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে জেলখানায় কাটিয়েছি। এ ওয়ার্ডের প্রায় ৬০ হাজার ভোটারও এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম। আগামীতেও থাকবো। দলীয় হাইকমান্ড যা ভাল মনে করেছে, তাই করেছেন। হয়তো দলের দুর্দিনে আমি দলের কান্ডারী ছিলাম। আজ সুদিনে আমাকে প্রয়োজন মনে করেননি। তাতে আমার কোন দুঃখ নেই। আমি রক্ত দিয়ে এ সংগঠন করেছি, আমার শিরা উপশিরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রক্ত প্রবাহমান। একজন তৃণৃমূলের কর্মী ছিলাম এবং আগামীতেও থাকব।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা