কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ১১ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:০২ | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৩২

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় করা হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন- কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বানিয়াপাড়া এলাকার নফছের আলী ছেলে জগো (৩০)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সোনাইডাঙ্গা এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলাম মন্ডল ওরফে কালু (৩২), বৃত্তিপাড়া এলাকার মনোয়ার মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), গজনবীপুর এলাকার মৃত আলম ফকিরের ছেলে বাদশা ওরফে বাশি মন্ডল (৩৮), দেড়িপাড়া এলাকার তোয়াক্কেল জোয়াদ্দারের ছেলে আলিম ওরফে ঝড়ো (৩৮), বারুইপাড়া এলাকার আফাজ সর্দ্দারের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫), উজানগ্রাম এলাকার মোনাউল্লাহ এর ছেলে বাবলু (৪০), বারুইপাড়া এলাকার মৃত তাইজাল হোসেনের ছেলে রহমত ওরফে সাইদুল (২৬), একই এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৫), আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে আসাদুল (২১) এবং বৃত্তিপাড়া এলাকার সামসুলের ছেলে ইউনুচ (৩৫)।

রায় ঘোষণাকালে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম, আলিম ওরফে ঝড়ো, বাবলু, সাইদুল, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, ইউনুচ এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জগো পলাতক ছিলো।

২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বারুইপাড়া মিনি ক্যানেল পাড়ে গলাকেটে হত্যা করা একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলায় দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর মাকিন মন্ডল, ফরিদুল ও অমূল্যকে বারুইপাড়া ব্রিজের কাছে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। সেখানে তাদের আটকিয়ে রেখে মুক্তিপণ আদায় করার বিষয় নিয়ে ফরিদুলের সঙ্গে অন্যান্য আসামি বিশেষ করে পলাতক আসামি জগোর কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে জগোসহ অন্যান্য আসামিরা ধাওয়া দিলে ফরিদুল ধানক্ষেতের মধ্যে পড়ে যায়। পরে জগোসহ কতিপয় আসামি উঠিয়ে উপুড় করে শুয়ে ফেলে কেউ কেউ পা, কেউ কেউ হাত ও মাথা ধরে রাখে, কেউ পিঠের উপর বসে, কেউ মাজার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। আসামি জগো শহিদুলের আনা কাঁচি দিয়ে ফরিদুলকে জবাই করে তার মাথা দেহ থেকে আলাদা করে বারুইপাড়া ব্রিজের উপর রেখে আসে।

ঘটনার পরদিন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ইবি থানা পুলিশ।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে কৌশুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় দীর্ঘ বিচারকার্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবং দুই আসামির জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামির ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :