ঢাকায় নারীকে হত্যার দায়ে আটজনের কারাদণ্ড

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:০৯ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:০২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ডাকাতির সময় এক নারীকে হত্যার দায়ে করা মামলায় আটজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সজল, মো. সোহাগ শরীফ, সাকিব হাসান সিজার, মেরাজুল শেখ ওরফে মিরাজ ওরফে মিজান, আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয়, শাহ ইমাম হোসেন রনি, মাসুদ শাহ এবং সাগর হাওলাদার।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাজেদুল ইসলাম সজল রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর সাত আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ মে আসামি সজল ও মাসুদ তহুরা খাতুনের উত্তর যাত্রাবাড়ীর ৭৬/১-এল/১৩ বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ওঠেন। নিচতলার বাসায় বিদ্যুতের সমস্যা হয়েছে বলে পরদিন তারা তহুরা খাতুনের বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলে তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার দরজা খুলে দেয়। সজল ও মাসুদ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। পরে একে একে আরও ছয়জন ঘরে ঢুকে পড়ে। পরে আসামিরা তহুরা বেগমের হাত ও পা রশি দিয়ে বেঁধে এবং মাথাসহ মুখ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে। সাবেকুন্নাহার চিৎকার দিলে আসামিদের একজন চাপাতির উল্টোপাশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। আসামিরা ৫/৬ জন তাকে পাশের রুমে নিয়ে রশি, টেপ, টাই ও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে।

ওই ঘটনায় তহুরা বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আসামিদের মধ্যে সাকিব, রনি, সোহাগ, সজল এবং মিরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মাহবুব আলম ভুইয়া মিলন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন সুব্রত দেবনাথ রানা, দেলোয়ারা বেগম মীরা, বাহাউল হক সাইমন ও কে পি চৌধুরী।

ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর