চাঁদপুরে ডাকাতির মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার খেড়িহরে ডাকাতির মামলায় মজিবুর রহমান বেপারিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান ও কামালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করে আদালত। এর মধ্যে আবুল কাশেমকে পৃথক ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তার উভয় দণ্ড একই সময়ে কার্যকর হবে।

সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খেড়িহর গ্রামের ফারুকের বসতঘরে অধিকাংশ মুখোশধারী একদল ডাকাত অস্ত্রসহ ডাকাতি করতে আসে। ওই সময় ঘরে থাকা লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে জেঠাতো ভাই তাজুল ইসলাম এগিয়ে যায়। তখন উপস্থিত ডাকাতরা তাজুলকে ইটপাটকেল মারে এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। ঠিক ওই মুহূর্তে তাজুলের বাবা বুদরুছ ঘরের দরজা খুলে বের হলে ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এই সময় ডাকাতের তাণ্ডবে প্রত্যেক পরিবারের লোকজন এলোমেলো অবস্থায় ছুটাছুটি করলে ডাকাতরা ফারুকের ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ বুদরুছকে আহত অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহিমের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তাজুল ইসলাম ওই দিনই শাহরাস্তি থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন পরিদর্শক নুরুল আফসার ভুঁইয়া তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্যাহ বলেন, মামলায় প্রথমে আসামি ছয়জন থাকলেও আবুল খায়ের নামে একজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর চলমান অবস্থায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক আসামিদের পৃথক সাজা দেন।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে মজিবর রহমান, আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন এবং বাকি দুই আসামি মাহবুবুর রহমান ও কামালের উপস্থিতিতে এই রায় দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)