‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা’

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৪৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পায় বলেই প্রতিহিংসার বিচারে তাকে জেলে বন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। দেশের হারানো গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সাহস নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি হয়।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ। এই তামাশার নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট শেষ হয়েছিল। জালিয়াতির এ নির্বাচন সরকারি দলের জন্য গৌরব ও মর্যাদার নয়, বরং লজ্জা ও কলঙ্কের। দিনের ভোটকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। মানুষের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যে প্রহসনের নির্বাচন করা হলো তা নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ মহাজালিয়াতির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি কোনো কারচুপি করা হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন বলেন, নেতাকর্মীরা আজ বিক্ষুব্ধ। দেশের জনগণ একদিন স্বৈরাচারের এই অনিয়মের জবাব রাজনৈতিকভাবেই দেবে। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে বিরোধীদলবিহীন একটি দেশে পরিণত করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এইচএম রাশেদ খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান ভোটারবিহীন অস্বাভাবিক সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই দেশনেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে। চট্টগ্রামের মানুষ প্রাণপ্রিয় নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আজ সোচ্ছার। কিন্তু সরকার প্রধানের ইশরায় তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। তিনি জামিন পেলেও তার মুক্তিতে সরকার বাধা দিচ্ছে। অবৈধ সরকার জানে দেশনেত্রী মুক্তি পেলে জনতার জোয়ারে তারা ভেসে যাবে।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী মর্তুজা খানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)